বাদুড়িয়ায় ধরা পড়ল বিরাট শিশু পাচারচক্র, সদ্যজাতকে মৃত বলে পাচার হতো শিশু !

এই পাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত দুই চিকিৎসকের নাম উঠে এসেছে ৷ খবর অনুযায়ী, পাচারচক্রের মূলচক্রী এই ২ চিকিৎসক, ডাঃ তপন কুমার দাস, ডাঃ আর গুপ্তা ৷ ডাক্তার আর গুপ্তা আরজি করের প্রাক্তন চিকিৎসক ৷ মঙ্গলবার শিশু পাচারচক্রে ধৃত ৮ জনকে ১৪ দিনের জন্য রাখা হয়েছে সিআইডি হেফাজতে৷

ডিআইজি সিআইডি ভরতলাল মিনা জানালেন, বাদুরিয়া নার্সিং হোমে শিশু জন্মানোর পর শিশুর পরিবারকে বলা হতো, শিশুটা মৃত ৷ তার পরেই জুতোর বাক্সে বা বিস্কুটের বাক্স করে সদ্যজাতকে নিয়ে যাওয়া হতো মছলন্দপুরের এক স্বেচ্ছাসেবক সংস্থায় ৷ সেখানেই অপেক্ষা করত শিশুর ক্রেতারা ৷ সেখানে থেকে দেশ-বিদেশে পাচর হয়ে যেত সদ্যজাত ৷

advertisement

ডিআইজি-র কথায়, ‘৩ বছরে মোট ৬০ শিশু পাচার হয়েছে ৷ এক শিশুকে আমেরিকায় পাচার করা হয় ৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ৷’

এর আগে শান্তিপুর থেকেও ধরা পড়েছিল শিশু পাচারকারী ৷ স্কুল শিক্ষিকাদের তৎপরতায় এক দিনের শিশুকন্যা-সহ এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করল আরপিএফ ৷ শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরে ৷

প্রত্যেক দিনের মতো শনিবারও শান্তিপুরে স্কুলে আসার জন্য চাকদহ থেকে সকাল ৯.০৪ মিনিটে আপ শান্তিপুর লোকাল ধরেন তনুশ্রী ঘোষ এবং পলি রায় নামের দুই স্কুল শিক্ষিকা ৷ মহিলা কামরায় ওঠার পর একটি সদ্যোজাত শিশুর কান্নার আওয়াজ পেয়ে এক মহিলার দিকে নজর যায় তাদের ৷ ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলা শুরু করলে তার কথায় বেশ অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন শিক্ষিকারা ৷

অভিযুক্ত মহিলার থেকে হাওড়া থেকে কাটা ১০ টাকা দামের একটি টিকিট পাওয়া গেলে সন্দেহ আরও দৃঢ় হয় ৷ এর পরই আর কোনও স্টেশনে ওই মহিলাকে নামতে দেননি শিক্ষিকারা ৷ তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ান কামরার অন্যান্য যাত্রীরাও ৷ শান্তিপুর স্টেশনে ট্রেন ঢুকলে আরপিএফ-এর হাতে শিশু-সহ ওই মহিলাকে তুলে দেন যাত্রীরা ৷ কন্যা সন্তানটিকে আপাতত শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৷ মহিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ ৷