সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি। সেই বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক-সহ প্রত্যেকটি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। বৈঠকে করোনা প্রতিরোধে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: গরমের ছুটি ১০ দিন! পুজোয় কত? ২০২৩ সালে রাজ্যে কবে কবে স্কুলে ছুটি? দেখুন সম্পূর্ণ তালিকা
advertisement
জানা গিয়েছে, কয়েকটি বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। যাঁরা এখনও করোনা টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেননি, তাঁদের দ্রুত টিকা দেওয়ানোর ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, জানানো হয়েছে, হাসপাতালগুলিকে পর্যাপ্ত টেস্টিং কিট মজুত রাখতে হবে। টিকা এবং টিকার জোগান নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে মুখ্যসচিবের নির্দেশে।
তাছাড়া, বর্তমানে মানুষের মধ্যে মাস্ক পরার প্রবণতা কমেছে। তা ফিরিয়ে আনার বিষয়েও প্রচার অভিযান শুরু করতে পারে রাজ্য সরকার। তেমনটাই খবর সূত্রের। পাশাপাশি, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে হয়ত কিছু বিমান, ট্রেন কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখা হতে পারে। সেই কথাও নাকি জানানো হয়েছে। তবে, আপাতত, কেন্দ্রীয় নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। বৈঠকে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকেই আবহাওয়া বদল বাংলায়, ২৫ ডিসেম্বরের জন্য বড় পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
গত বুধবারই দেশের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। বৃহস্পতিবার সংসদে দেশের করোনা পরিস্থিতি এবং করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিবৃতিও দেন তিনি। দেশের করোনা পরিস্থিতির হাল হকিকত জানতে বৃহস্পতিবার বিকেলেই বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন সংসদের অধিবেশনেও তাঁকে মাস্ক পরেই যেতে দেখা গিয়েছে।