এ দিন বৈঠক শেষে মমতা বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা আমার সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে পড়ে৷ রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী এলে আমি আগেও দেখা করেছি৷ এটা সাংবিধানিক অধিকার৷ আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, আপনি আমার অতিথি, তবু বলছি, আপনি সিএএ, এনআরসি নিয়ে আপনারা ভাবনাচিন্তা করুন৷ আমরা চাই প্রত্যাহার করুন৷ সিএএ, এনআরসি-র বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে৷'
advertisement
একই সঙ্গে রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়েও মোদির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান মমতা৷ বলেন, 'কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে৷ এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতি বাবদ আরও ৭ হাজার কোটি টাকা পাওনা৷ সব মিলিয়ে প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকা পাওনা৷'
সিএএ, এনআরসি নিয়ে যখন দেশ তোলপাড়, তখন মোদি ও মমতার বৈঠককে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা৷ সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিমের কথায়, 'সারদা, নারদা মামলা থেকে বাঁচার কৌশল মমতার এই বৈঠক৷'
কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর কটাক্ষ, মমতার আসল চেহারা উঠে আসুক৷ অধীরের কথায়, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল চেহারা উঠে আসুক৷ মোদির জন্য সময় বের করেন মমতা৷ সাম্প্রদায়িকতা বিরোধের সময় নেই৷ আসলে মোদিকে দরকার মমতার৷ সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী জোট চান না মমতা৷'
দিল্লিতে সিএএ-এনআরসি নিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির ডাকে বিরোধী জোটের বৈঠকে যাবেন না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ১৩ জানুয়ারি দিল্লিতে ওই বৈঠকে যোগ দিতে ১২ জানুয়ারি মমতার দিল্লি যাত্রা নির্ধারিত ছিল। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, তিনি ওই বৈঠকে যাবেন না।