পুলিশের তরফে মাইক হাতে ঘোষণা করা হয়— “আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।” কিন্তু বিক্ষোভকারীরা রেলিংয়ে লাথি মারেন, জলের বোতল ও প্ল্যাকার্ড ছুঁড়ে মারেন পুলিশ বাহিনীর দিকে। এমনকি, ব্যারিকেডের ওপরে উঠে পড়েন অন্তত দুইজন, যাঁরা পুলিশের দিকে বোতল নিক্ষেপ করেন।এই আবহে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি পুলিশের। সাঁতরাগাছিতে পুলিশেকে জুতো, টাকা দেখানো হচ্ছে!
advertisement
ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার গেটে একদল বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছন তিনি। এরপর সেখান থেকে হেঁটে ডোরিনা ক্রসিংয়ের দিকে যাওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।
একাধিকবার গর্ভপাত! স্বামীর পরকীয়া হাতেনাতে ধরে ফেলেন, মাত্র ২৮-এ অভিনেত্রীর জীবনে এ কী হল?
বলুন দেখি, ভারতের ১ টাকা কোন দেশের ৫০০ টাকা? ৯৯ শতাংশই বলতে গিয়ে মাথা চুলকোবেন!
কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার গেটে একদল বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছন তিনি। এরপর সেখান থেকে হেঁটে ডোরিনা ক্রসিংয়ের দিকে যাওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।
পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি, রাস্তাজুড়ে উত্তেজনা ও স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে র্যাফ মোতায়েন করা হয়।
আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে ফের রাত দখলের সাক্ষী হল শহর। বিচারের দাবিতে শুক্রবার জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল হয় কলেজ স্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত। এর পর শ্যামবাজারে রাতভর সমাবেশে যোগ দেন নির্যাতিতার বাবা-মা। শনিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘পুলিশ আমাদের গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করেছিল। পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে পৌঁছোতে হল। পুলিশের প্রথম থেকেই বাধা ছিল।’
নবান্ন বা কালীঘাট অভিযানের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। এই দুই কর্মসূচি কোনওভাবেই করা যাবে না, শুক্রবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশ। নিয়ম অমান্য করলে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিবাদ কর্মসূচির বিকল্প স্থানের প্রস্তাবও দিয়েছে পুলিশ। বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের জন্য পুলিশ দুইটি জায়গা নির্দিষ্ট ঠিক করে দিয়েছে। প্রথমটি হল সাঁতরাগাছি বাসস্ট্যান্ড। অপরটি হল রানি রাসমণি চত্বর। আইন মেনে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিবাদের করা যাবে।
শুক্রবার কলেজ স্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপর শ্যামবাজারে রাতভর অবস্থান-বিক্ষোভে যোগ দেন নির্যাতিতার বাবা-মা। আন্দোলনকারীরা শনিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন।
তবে নবান্ন বা কালীঘাট অভিযানের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। শুক্রবার কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে— এই দুই কর্মসূচি কোনওভাবেই করা যাবে না। নিয়ম অমান্য করলে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। বিকল্প হিসেবে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের জন্য দুটি জায়গা ঠিক করে দিয়েছে পুলিশ— সাঁতরাগাছি বাসস্ট্যান্ড ও রানি রাসমণি চত্বর। সেখানে আইন মেনে ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে কর্মসূচি করা যাবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ৮ অগাস্ট গভীর রাতে কর্তব্যরত অবস্থায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়। পরদিন ৯ অগাস্ট এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে এবং গোটা দেশে ক্ষোভের স্রোত বইতে শুরু করে। এবারে ঘটনার একবছর পূর্তিতে ফের দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।