তাঁর কথায়, ”খুব বৃষ্টি ছিল বাইরে। মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে ছাতা ধরে চিকিৎসকদের মাথায়। রাত ৮টা নাগাদ নিজে বেরিয়ে এসে হাতজোড় করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”আসুন কথা বলি। যদি সেটাও না চান, এক কাপ চা খেয়ে যাবেন।”
advertisement
চন্দ্রিমার সংযোজন, ” ৯টা পর্যন্ত কিছু বলেননি চিকিৎসকরা। সব কিছু প্রস্তুত ছিল। ৪০ জন এসেছিলেন চিকিৎসকরা। ওরা ছোট, ওদের কথাকে গুরুত্ব দিয়ে অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু রাত ৯টা পর্যন্ত কিছু বললেন না। তারপর আধিকারিকরা যখন বেরোতে যাচ্ছি, চিকিৎসকরা জানান মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন। কোনও পূর্বে দেওয়া শর্ত ছাড়াই আলোচনা করবেন বললেন তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর। এত যে সময় দেওয়া হল, তখন আলোচনা করলেন না। তারা যখন বলবেন, তখনই সরকারকে রেডি থাকতে হবে কথা বলার জন্য, এটা এরকম মনে হল।”
শনিবার দুপুরেই জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনাস্থলে চলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ কমিটি ভেঙে দেওয়া হল। সেই প্রসঙ্গ তুলেও চন্দ্রিমা বলেন, ”শনিবার মুখ্যমন্ত্রী দিদি হিসেবে ধরনা মঞ্চে গিয়ে অনুরোধ করেন, যা যা দাবি আছে, সেগুলো খতিয়ে দেখবেন। নিশ্চিত করেছিলেন বিচার পাবেন। বেশ কিছু দাবি তিনি মেনে নিয়েছিলেন, ঘোষণা করেছিলেন। যেমন রোগী কল্যাণ সমিতির সব কমিটি ভেঙে দেওয়া হল। আমরা এটাই বলব, যতটা মুখ্যমন্ত্রীর করার, তিনি করেছেন।”
রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ”আমি বিনীত ভাবে অনুরোধ করব, মুখ্যমন্ত্রী যেখানে সব শর্ত মেনেছেন, সেখানে আর কী বলার থাকতে পারে। এটা সাব জুডিস ম্যাটার, তিনি নিজেও বলেছেন। বিচারের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী নিজে পথে নেমেছেন। যাতে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা থেকে না বঞ্চিত হন, সেটাও তো দেখতে হবে।”