TRENDING:

ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের কাজে সাহায্য চেয়ে রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের

Last Updated:

শিলচর থেকে পোরবন্দর অবধি ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর বানানো হচ্ছে।রাজ্যে এই প্রকল্পের বাজেট ১৮০০ কোটি টাকা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: রাজ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের কাজ।   শেষ প্রচেষ্টা হিসাবে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন এন এইচ এ আই'য়ের রাজ্যের জেনারেল ম্যানেজার আর পি সিং। এই চিঠির সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে চলা জনস্বার্থ মামলায় গত ২৩ ডিসেম্বরের অর্ন্তবর্তী নির্দেশের প্রতিলিপিও পাঠানো হয়েছে।
advertisement

জাতীয় সড়ক সংক্রান্ত ওই জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, চার লেনের সড়কের জমি পেতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে সবরকম সাহায্য করতে হবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনগুলিকে।রাজ্যে বন্ধ হতে পারে ইস্ট-ওয়েস্ট হাইওয়ে করিডরের কাজ। জমির অভাবে কাজ আটকে রাজ্যে। শিলচর থেকে পোরবন্দর অবধি ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর বানানো হচ্ছে।রাজ্যে এই প্রকল্পের বাজেট ১৮০০ কোটি টাকা।

advertisement

কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় জমির অভাবে আটকে কাজ। এই প্রকল্প দুটি ভাগে বিভক্ত।প্রথম অংশ ধূপগুড়ি থেকে সালসাবাড়ি। এই অংশের মোট দুরত্ব ৭২ কিমি।তার মধ্যে ধূপগুড়ি থেকে ফালাকাটার দুরত্ব ২৯ কিমি।এই অংশে চলছে একদিকে জমি অধিগ্রহণ ও DPR বানানোর কাজ।অপর অংশ হল ধূপগুড়ি বাইপাস তৈরি।এখানে সাধারণ মানুষ সমীক্ষার কাজটাও করতে দিচ্ছে না। প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশ ফালাকাটা থেকে সালসাবাড়ি।এই অংশের দুরত্ব হচ্ছে ৪৩ কিলোমিটার। এখানে মাত্র ১৭ কিলোমিটার অংশে জমি মিলেছে।জানুয়ারি ২০১৯ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।জমির অভাবে কাজ না এগোনোয় ঠিকাদার সংস্থা কাজ বন্ধ করতে চাইছে।জেলাশাসকদের একাধিক বার জমির বিষয়ে বলা হয়েছে।সমস্যা না মেটায় কাজ বন্ধ হতে পারে এই প্রকল্পের। চার লেনের পূর্ব–পশ্চিম সড়ক তৈরিতে জমি জট কাটিয়ে সুষ্ঠুভাবে সড়ক তৈরিতে নজরদারির জন্য হাইকোর্ট একজন স্পেশ্যাল অফিসারও নিয়োগ করেছে। হাইকোর্টের নজরদারিতে জলপাইগুড়ি জেলায় জমি জট তুলনামূলক কাটলেও উত্তর দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায় জটের কারণে সড়কের কাজ শুরুই করা যায়নি বলে অভিযোগ। আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলা মিলিয়ে প্রায় ৪২ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক তৈরি হবে।যে অংশের জমি মেলেনি, সেখানকার জমিদাতাদের একাংশ ক্ষতিপূরণ নিয়েছেন। কিন্তু অন্য অংশ ক্ষতিপূরণের হার বৃদ্ধির দাবি তুলে মামলা করা হয়েছে। ক্ষতিপূরণের হার নিয়ে বিবাদ চলতে থাকলেও জমি পেতে আইনত বাধা আসা উচিত নয় বলে মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।

advertisement

ঘোষপুকুর থেকে ধূপগুড়ি এবং ফালাটাকা থেকে সলসলাবাড়ি—এই দুই ভাগে কাজ শুরু করেছিল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। তার পরে প্রায় আট বছর কেটে গেলেও কোনও অংশের কাজই শেষ হয়নি। জমি জটে তা থমকে গিয়েছে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

 ABIR GHOSHAL

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের কাজে সাহায্য চেয়ে রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল