২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন কলকাতার পাটুলির বাসিন্দা বিতান অধিকারী। কর্মসূত্রে আমেরিকার ফ্লোরিডায় থাকতেন। ছুটিতে কলকাতায় নিজের বাড়ি এসে পরিবার নিয়ে জম্মু-কাশ্মীর গেছিলেন ঘুরতে। সেখানেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তাঁর। আর এরপরই তাঁর দাদা সোহিনীর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
advertisement
বিভু দাবি করেন, “পরিচয় গোপন করে তাঁর ভাই, পেশায় আইটি কর্মী বিতানকে বিয়ে করেছিলেন সোহিনী। সোহিনীর দুটো জন্ম-শংসাপত্র। উনি আদতে বাংলাদেশের নাগরিক। পরে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড বানিয়েছিলেন। কিন্তু পরে প্রমাণ হয় সেগুলো ভুয়ো।” বিভু আরও জানান, “সোহিনী আগে বিতানের সঙ্গে আমেরিকায় থাকতেন। কিন্তু ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ভারতে রয়েছেন। কারণ, ফেব্রুয়ারি মাসে সোহিনীর ভারতীয় পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।” যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ করেছিলেন, সেই সোহিনী অবশেষে নাগরিকত্ব পেলেন ভারতের।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বিতানবাবু, যাঁকে পহেলগাঁওয়ে মারা হয়েছিল, তাঁর স্ত্রী সোহিনী রায়কে ভারত সরকার নাগরিকত্ব দিয়েছে। বহু আগেই বিবাহসূত্রে তিনি নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদনকে ভারত সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে।”
অমিত সরকার