রবিবার রাতে রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় দলটি আগামী চার দিন ঘুরে দেখবে রাজ্যের একাধিক ইয়াস বিধ্বস্ত এলাকা। সোমবার থেকেই পাথরপ্রতিমা, গোসাবা, দিঘা সহ দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের কথা রয়েছে তাঁদের। দলটি আসার আগেই তাঁদের পরিদর্শনের পূর্ণাঙ্গ সূচি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে পাঠানো হয়েছিল নবান্নে।
advertisement
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, সাত সদস্যের ওই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধি ছাড়াও থাকছে কৃষি দফতর, পরিবহন দফতর, গ্রামীণ উন্নয়ন দফতর, বিদ্যুৎ দফতর, মৎস্য দফতর ও অর্থ দফতরের প্রতিনিধিরা। আর বাংলায় আসা প্রতিনিধি দলটির গঠন কাঠামোই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কেন? কারণ ইয়াসের কারণে রাজ্য যে যে ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানিয়েছে, সেই প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্যই সংশ্লিষ্ট দফতর থেকেই নির্দিষ্ট একজন করে প্রতিনিধিকে দলে অন্তর্ভূক্ত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে ইয়াসে ত্রাণ নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। এমনকী প্রতিদিন নানা ইস্যুতে সুর চড়িয়েছে রাজ্যপালও। এমন এক পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রাজ্যে আগমন নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি করেছে। যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের তরফেও মুখে কুলুপ আঁটা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কেন্দ্রের আনা শো-কজ নোটিশের উত্তর দিয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বৃহস্পতিবার একটি চার পাতার জবাবি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জবাব ওই চিঠিতেই দিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্য সচিব (WB Former Chief Secretary)। উল্লেখ্য যে বিষয়বস্তু নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই একই চিঠি একই বিষয়বস্তু দর্শিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়েছেন বর্তমান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীও।