বিজেপি সূত্রে খবর, মহালয়ার পরেই কলকাতায় আসবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ। ২০২৩ এ অমিত শাহ বাংলায় দুর্গাপূজায় আসেন। এরপর ২০২৪ সালে দেখা না গেলেও, ২০২৫-এর দুর্গাপূজার মরসুমে আবারও রাজ্যে আসছেন এই শীর্ষ বিজেপি নেতা। বর্তমানে রাজ্য বিজেপি-র সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, বাংলার মানুষের মন জয় করা। ভিনরাজ্যে বাঙালি সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণের ঘটনায় রাজ্য বিজেপি যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে। তাই গেরুয়া শিবির এখন বাঙালির সংস্কৃতি ও আবেগের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করার কৌশল নিয়েছে। দুর্গাপূজাকে তাই তারা বড় সুযোগ হিসেবে দেখছে।
advertisement
কয়েক মাস আগে সল্টলেকের ইজেডসিসিতে ‘পশ্চিমবঙ্গ সংস্কৃতি মঞ্চ’-এর খুঁটিপুজো সেই পরিকল্পনারই ইঙ্গিত দিয়েছিল। দলীয় সূত্রের খবর, মহালয়ার ঠিক পরদিন কলকাতায় দু’টি এবং সল্টলেকে একটি পুজোমণ্ডপ উদ্বোধন করবেন অমিত শাহ। তাঁর তালিকায় উত্তর কলকাতার একটি নামী পুজো এবং ইজেডসিসি-তে বিজেপি-র আয়োজিত পুজো রয়েছে। উত্তর কলকাতায় গত বছর পুজোর সময় সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা দু’টি পুজো উদ্বোধন করেছিলেন। এবার একই পথে হাঁটছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে, বিজেপি কি এবার বাঙালির আরাধ্য দেবীদের আশ্রয়ে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে চাইছে? সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য সফরেও তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছিল মা দুর্গা ও মা কালীর নাম। এবার শাহের আগমন সেই বার্তাকে আরও স্পষ্ট করল বলেই মত পর্যবেক্ষকদের। এবার দুর্গোৎসবকে হাতিয়ার করে বাঙালিয়ানায় শান দিতে চাইছেন অমিত শাহ। এবার ফের জাঁকজমক করে দুর্গোৎসবের আয়োজনে যে বঙ্গ বিজেপি করছে, তার আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। বকলমে দলের তরফে আয়োজিত সল্টলেকের ইজেডসিসিতে দুর্গাপুজোর খুঁটি পুজো হয়েছিল। এর আগে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে এসে ইতিমধ্যেই বাঙালি আবেগকে কাজে লাগাতে তাঁর মুখে মা দুর্গা, মা কালীর নাম নিতে শোনা যায়।