সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্য়ুর পরেই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে রামপুরহাট থানায় অফিযোগ দায়ের করেছিলেন মৃত লালন শেখের স্ত্রী। সিবিআইয়ের অভিযোগ, এর পরে আবারও কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন তিনি। একই ঘটনায় পর পর কী ভাবে এফআইআর দায়ের হতে পারে? এই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী ডি পি সিং। পাশাপাশি, তাঁদের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত লালন শেখের ময়নাতদন্তের যথাযথ রিপোর্ট তাঁদের কাছে এসে পৌঁছয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: গরমের ছুটি ১০ দিন! পুজোয় কত? ২০২৩ সালে রাজ্যে কবে কবে স্কুলে ছুটি? দেখুন সম্পূর্ণ তালিকা
গত ১২ ডিসেম্বর রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্য়াম্পের শৌচাগারে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় বগটুই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের দেহ। বিচারাধীন অবস্থায় বন্দিমৃত্যুর ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তিতেই রয়েছে সিবিআই। ঘটনার পর পরই এ নিয়ে নিয়মমাফিক অনুসন্ধান শুরু করে দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তারপরেও, ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করে সিআইডি। সিবিআইয়ের একাধিক তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে সিবিআই-কে। তাই তাঁদের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআর-ই খারিজ করে দেওয়া হোক। সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে প্রশ্ন তোলেন, ইতিমধ্যেই লালনের মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করছে মানবাধিকার কমিশন। তাহলে, সিআইডি তদন্তের প্রয়োজনীয়তা আদৌ আছে কি? এরপরেই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের মন্তব্য, "NHRC তদন্তকারী সংস্থা নয়। তারা শুধু একটি সিদ্ধান্তে আসতে পারে।"
আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকেই আবহাওয়া বদল বাংলায়, ২৫ ডিসেম্বরের জন্য বড় পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
তাছাড়া, লালন-কাণ্ডে হাইকোর্টে কর্মরত বিচারপতিকে দিয়ে বিচারবিভাগীয় অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে তদন্ত করার আর্জি জানিয়ে করা জনস্বার্থ মামলার আর্জি গত বুধবারই খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবী তাঁর আবেদনের দ্রুত শুনানি চাইলেও তা একপ্রকার কানে তোলেননি বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তিনি জানান, প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ দেখেই তিনি আগামিকাল, শুক্রবার মামলা শুনবেন। শুক্রবার একক বেঞ্চে সিবিআইয়ের আবেদনের শুনানি।
সম্প্রতি, লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে সিবিআইকে ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্ট। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করতে গিয়ে লালন শেখের মৃত্যু প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন সিবিআই আইনজীবী ডি পি সিং। সেই প্রসঙ্গেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির মন্তব্য ছিল, "বিচারাধীন বন্দিদের উপরে নজর রাখা কি আপনাদের কর্তব্য নয়?"