জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুর, পানিহাটি, দক্ষিণ দমদম পুরসভায় গিয়েছে সিবিআই টিম। নিয়োগের আগে কী রেজোলিউশন পাশ হয়েছিল, সেই কপির খোঁজে সিবিআই তল্লাশি চালাতে শুরু করেছে। যা যা পরীক্ষা হয়েছে নিয়োগ নিয়ে, তার খোঁজও নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পুরসভায় নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির কপি, প্রার্থীদেরও তালিকা সংগ্রহ করতে শুরু করেছে সিবিআই।
advertisement
আরও পড়ুন: পুর নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে একাধিক পুরসভায় CBI হানা! নগরোন্নয়ন দফতরেও ঢুকল সিবিআই
কী খুঁজছে সিবিআই? সূত্রের খবর, অয়ন শীলের সংস্থা কীভাবে নিয়োগের টেন্ডার পায়, কীভাবে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলেছিল সেই সব নথি খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই ১৪টি জায়গায় পৌঁছেছে সিবিআই টিম। বুধবার সকালে নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআই-এর ৫ টি দল নানা দিকে ছড়িয়ে পড়ে। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে একের পর এক পুরসভায় সিবিআই তল্লাশি। সল্টলেকের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অফিস, নগরায়ন ভবনেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা হানা দেয়।
অয়ন শীলের ফ্ল্যাট এবং সংস্থা দুটি জায়গাতেই তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। সিবিআই আধিকারিকরা যখন সেই অফিসে হানা দেয়, সেই সময় তালাবন্ধ ছিল ওই অফিস। সিবিআই টিমের একজন একটি চিঠি নিয়ে স্থানীয় থানায় যান। কারণ তল্লাশির আগে অয়ন শীলের ওই বাড়িটি সিল করা ছিল। অন্য টিম অয়ন শীলের ফ্ল্যাটেও তল্লাশিতে যায়।
আরও পড়ুন: বাজারে মাছের দাম আকাশছোঁয়া, খুচরো বাজারে কবে কমবে মাছের দর? জানুন
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গত ১৯ মার্চ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়নকে গ্রেফতার করেছিল আর এক তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির তরফে দাবি করা হয়, তাঁর সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা যায়, ‘এবিএস ইনফ্রোজোন’ নামে অয়নের সংস্থার মাধ্যমে একাধিক পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে। বিষয়টি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠলে তিনি পুরসভায় দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে এই মামলার এজলাস বদল হলেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল রাখে হাই কোর্ট।