কাদের দেওয়া হতো এই ঋণ? তদন্তকারীদের দাবি প্রভাবশালীদের মধ্যে এই ঋণ দিতেন এনামুল হক ও তার সহযোগীরা। সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বীরভূম জেলায় গরু পাচারের থেকে ওঠা টাকার লাভের একটা অংশ পৌঁছে যেত প্রভাবশালীদের কাছে। মূলত দু' ভাবে প্রভাবশালীদের হাতে টাকা দেওয়ার কৌশল নিয়েছিলেন পাচারের সঙ্গে যুক্ত মাথারা।
আরও পড়ুন: 'আমি জানতাম দিদি আমার পাশে দাঁড়াবে', মমতার মন্তব্যে যেন প্রাণ ফিরে পেলেন 'কেষ্ট'
advertisement
পশুহাট থেকে সরাসরি লাভের একটা অংশ নগদে দেওয়া হতো প্রভাবশালীদের। তাদের জন্য বরাদ্দ টাকার বাকিটা ঋণ হিসেবে দেখানো হতো, যে ঋণ প্রভাবশালীরা নিতেন কিন্তু ফেরানোর কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি বলে দাবি করছে সিবিআই।
ইতিমধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক সম্পত্তির হদিস পেতে গিয়ে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামে থাকা দু'টি কোম্পানির একাধিক নথিপত্র পেয়েছেন দাবি তদন্তকারী আধিকারিকদের। সেই নথির মধ্যে সংস্থা গুলির ব্যালেন্স শিট পাওয়া গিয়েছে৷ যেখানে উল্লেখ রয়েছে, একটি সংস্থা ঋণ নিয়েছিল ।
এই ঋণকে 'আনসিকিয়োর্ড লোন্স' হিসেবে দেখানো হয়েছে। যা ভাবাচ্ছে সিবিআই আধিকারিকদের। তাঁদের দাবি, এই টাকা এসে থাকতে পারে গরু পাচারের লাভের টাকা থেকে, আসলে যা কালো টাকাকে সাদা করার চেষ্টা। তাই এই বিষয় নিয়েও অনুব্রতকে জেরা করতে চাইছে তদন্তকারী সংস্থা। প্রয়োজন হলে তাঁর মেয়ে সুকন্যাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। কী কারণে এই ঋণ নেওয়া হয়েছিল, তা জানা দরকার বলে মনে করছে সিবিআই।
তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর, প্রভাবশালীদের মাধ্যমে বেনামি কোম্পানিতে ঋণ দেখিয়ে টাকা লগ্নি হয়েছে। এই সকল বিনিয়োগের খোঁজ পেতে চাইছে সিবিআই। তাঁদের দাবি, গরু পাচারকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি টাকার লেনদেন চলেছে ।