১০-১২টি গাড়ির কনভয় নিয়ে পৌঁছন সিবিআই অফিসাররা। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়ি ঘিরে ফেলা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গরুপাচার মামলায় সিবিআই-এর হাতে আটক হন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতর মণ্ডল। এদিন বিকেলে সিবিআই-এর তরফে বিবৃতিতে জানানো হল, গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। মামলার নম্বর RC 0102020A0019, দায়ের হয়েছিল ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। মামলাটি দায়ের হয়েছিল কলকাতার দুর্নীতি দমন শাখায়।
advertisement
আরও পড়ুন: সেন্ট জেভিয়ার্স কাণ্ডে জনরোষ! উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ
বৃহস্পতিবারই বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রতকে আদালতে তুলতে চায় সিবিআই।আসানসোল ইএসআই-এ থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে শীতলপুর গেস্ট হাউজে নিয়ে যায় সিবিআই। সেখানেই হয়তো জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুরে নিজের বাড়ি থেকে আটক করার পর অনুব্রতকে নিয়ে প্রথমে আসানসোল ইএসআই হাসপাতালে যায় সিবিআই। সেখানে থেকেই কেষ্টকে নিয়ে যাওয়া হয় ইসিএল-এর গেস্ট হাউজে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ আসানসোলের সিবিআই আদালতে পেশ করা হল অনুব্রত মণ্ডলকে। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইল সিবিআই। আসানসোল আদালতে অনুব্রতকে পেশ করার সময় দলীয় পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখান সিপিএম ও বিজেপির দলীয় সমর্থেকরা।
আরও পড়ুন: ধর্মতলা থেকে সেন্ট্রাল, অনুব্রতর গ্রেফতারের পর বিরোধীদের গুড়-বাতাসা-নকুলদানা বিলির ধুম
গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে, অফিশিয়াল বিবৃতিতে জানিয়ে দিল সিবিআই। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন কেষ্ট, হয়তো খানিক আঁচ করতে পারছিলেন কী হতে চলেছে! ঘনিষ্ঠরা বলছেন, গতরাতে বোলপুরে নিজের ঘরে বসে কাঁদতেও দেখা যায় দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে।