বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় একাধিক পিটিশনের শুনানি হাইকোর্টে শেষ হয়েছে। গত ১৮ জুন এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই অনুযায়ী কমিটি গঠন করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে মানবাধিকার কমিশন। বাংলার গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় সেই রিপোর্টে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, উদয়ন গুহদের মতো একাধিক হেভিওয়েট নেতামন্ত্রীকে ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’ বা ‘গুণ্ডা’র তালিকায় রাখা হয়। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দের বাংলা রক্তস্নাত। সর্বোপরি, ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করা হয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে।
advertisement
যদিও মানবাধিকার কমিশনের সেই রিপোর্ট বিজেপির 'ইচ্ছেমতো' তৈরি বলে বারংবার অভিযোগ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানবাধিকার কমিশন বিজেপি দ্বারা চালিত বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এমনকী এই মামলায় হলফনামা দিয়ে রাজ্য সরকার দাবি করে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে রাজ্যের শাসকদল শুধুমাত্র ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে যে উল্লেখ করা হয়েছে এর কোনও ভিত্তি নেই। যে সমস্ত আক্রান্তরা বিজেপির সদস্য বা সেই দলের সঙ্গে যুক্ত, শুধুমাত্র সেই সমস্ত ব্যক্তির বাড়িতেই গিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নিযুক্ত কমিটির সদস্যরা। অন্যান্য দলেরও যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি। এই কমিটি সম্পূর্ণ ভাবে বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছে। একইসঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার শতাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। সেই সব উদাহরণ তুলে দেখিয়ে রাজ্য আদালতে দাবি করে, মানবাধিকার কমিশন রিপোর্টে যে সমস্ত তথ্য দিয়েছে তাতে বিস্তর গলদ রয়েছে। সেই সমস্ত সওয়াল জবাব অবশেষে শেষ হয়েছে। এবার রায়দানের পালা।