সুকান্ত মজুমদার বলেন, "এই সিদ্ধান্তে বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস আরও বাড়বে সাধারণ মানুষের। আরও অনেক দুর্নীতি সামনে আসবে বলেই আমি মনে করি।" শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের রায় অনুযায়ী, পর্ষদের নথি ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ বহাল থাকবে। সিঙ্গল বেঞ্চ মামলা পর্যবেক্ষণ করবে। আদালতের নজরদারিতে তদন্ত হবে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে রিপোর্ট চাইতে পারবে সিঙ্গেল বেঞ্চ। কিছু বিরূপ মন্তব্য নির্দেশনামা থেকে মুছে ফেলা হল। ২৬৯ বরখাস্ত প্রার্থী দ্রুত শুনানির আর্জি জানাতে পারবেন না। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে CBI-এর নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য এবং প্রাথমিক বোর্ড।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ওটা কী! নিউটাউনে মাথা তুলেছে ৮-৯ তলা উঁচু বিশালাকৃতি গম্বুজ, কৌতুহল চরমে
এ দিন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণ সিদ্ধান্তও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। ২০১৭ দ্বিতীয় নিয়োগ প্রক্রিয়া লুকিয়ে করা হয় কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই, এমনই অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। ভুল প্রশ্নে বাড়তি ১ নম্বর বেছে বেছে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পর্ষদের বাইরে দীর্ঘদিন বিক্ষোভ প্রদর্শন করে চাকরিপ্রার্থীরা। সেই মামলাতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই একক বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন, এই অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা গ্রহণযোগ্য বলে আগেই রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ তবে সব পক্ষকেই নিজেদের বক্তব্যের সপক্ষে আরও তথ্য প্রমাণ আদালতে হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
উল্লেখ্য, এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণ করার নির্দেশ দিয়েছিল। পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
VENKATESWAR LAHIRI