অভিযোগকারী দুই সিপিএম প্রার্থীর নাম ওমজা বিবি এবং কাশ্মীরা বিবি৷ তাঁদের অভিযোগ, যথাযথ ভাবে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পরেও ইচ্ছাকৃত ভাবে বিডিও বা রিটার্নিং অফিসার কারচুপি করে তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছেন৷ বহিরা গ্রাম পঞ্চায়েত ও ধুসিমালি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন এই দুই মহিলা প্রার্থী৷
আরও পড়ুন: ২০১৩ সালের থেকেও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট! ফের ধাক্কা কমিশনের, নির্দেশ হাইকোর্টের
advertisement
ওই দুই মহিলা প্রার্থীই হাইকোর্টে অভিযোগ করেন, বিডিও শুধু নথি পত্র বিকৃত করে তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করেছেন তাই নয়, এ নিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলেও তা গ্রহণ করেননি ওই আধিকারিক৷
কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশকে স্বভাবতই স্বাগত জানিয়েছে বিরোধীরা৷ পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও৷ তৃণমূল নেতা বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটেও সিবিআই আনতে হচ্ছে? এটা ন্যায়বিচার হচ্ছে না। বিচারপতিকে বলছি না৷ কিন্তু গায়ের ঝাল মেটাচ্ছেন কিছু ব্যক্তি। যাঁদের অতীত রাজনৈতিক ভাবে যুক্ত৷ তাঁদের চলনে, বলনে, সংলাপে সেটাই প্রতিফলিত হচ্ছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা একজন কৃতী। কোন সিবিআইকে দিয়েছেন? যে সিবিআই শুভেন্দুকে গ্রেফতার করে না। আপনি নিজে রাজ্য পুলিশকে তত্ত্বাবধানে রেখে তদন্ত করাতে পারতেন। বিচারপতি সিনহা মনে করেন, এই সিবিআই নিরপেক্ষ হবে? পক্ষপাতদুষ্ট এজেন্সি৷ এতো পাড়ার সিপিএম কর্মীর মতো আচরণ। তৃণমূলের উপরে রাগে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল।’