সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু-রহস্য ভেদ করতে প্রাথমিকভাবে সিবিআইকে ৬ মাসের সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছে আদালত৷ হুগলির ত্রিবেণীর, সুমন রায় এসএসসি পূর্বাঞ্চল মণ্ডলে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পায় সিআরপিএফ কনস্টেবল পদে। ইটাচুনা বিজয়নারায়ণ মহাবিদ্যালয়ের সাম্মানিক স্নাতক ছিল সুমন। সিআরপিএফে চাকরি পাওয়ার পর তাঁর প্রথম পোস্টিং হয় দুর্গাপুরে। সেখান থেকে প্রশিক্ষণের জন্য সুমনকে পাঠানো হয় মধ্যপ্রদেশের নিমাচে। প্রশিক্ষণ চলাকালীন ত্রিবেনীর বাড়িতে সুমনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ফোন আসে।
advertisement
মা জ্যোৎস্না রায়ের দাবি, তাঁর ছেলে কখনই আত্মহত্যা করতে পারে না। ২০১৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ্রদেশে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিতরে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয় সিআরপিএফ জওয়ানের। নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে বিভিন্ন জায়গায় দরবার করে সুমন-এর পরিবার।
কলকাতা হাইকোর্টের সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা করে মা জ্যোৎস্না রায়। হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয় জ্যোৎস্না দেবীকে। ডিভিশন বেঞ্চে আপিল মামলা করে সিআরপিএফ জওয়ানের পরিবার। সেই মামলায় বুধবার বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি কৌশিক চন্দে'র ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।
ছয় মাসের মধ্যে জওয়ানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে সিবিআই-কে। সুমন রায়ের পরিবারের অভিযোগ, প্রশিক্ষণের নামে মানসিক নির্যাতন চালানো হতো সুমনের ওপর। সেই মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে হয়তো আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে সুমন। পরিবারের এই অভিযোগের উত্তর কি খুঁজে দিতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে হতভাগ্য মা, জ্যোৎস্না রায়।
Arnab Hazra