এদিন মামলার শুনানির শুরুতেই স্কুল সার্ভিস কমিশনকে অপদার্থ বলে সমালোচনা করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, 'স্কুল সার্ভিস কমিশন একটি অপদার্থ সংস্থা। কোন আধিকারিকরা এই কমিশন চালাচ্ছেন? এই কমিশনকে অবিলম্বে খারিজ করে দেওয়া উচিত।' বিচারপতির প্রশ্ন তোলেন, '২০১৯-এর অক্টোবরে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের তরফে দেওয়া হয়েছিল, তা মানা হয়নি কেন? নির্দেশ মেনে ইন্টারভিউ লিস্টও প্রকাশ হয়নি কেন?'
advertisement
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, '৫ বছরে কমিশন শিক্ষক নিয়োগ করতে পারেনি! এই কমিশনকে বরখাস্ত করে দেওয়া উচিত।' এদিনই উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় SSC চেয়ারম্যানকে তলব করেছিলেন বিচারপতি। তাঁর উপস্থিতিতেই এদিন সাত দিনের মধ্যে নম্বর সহ মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেন তিনি। তাহলেই শিক্ষক নিয়োগের উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, উচ্চপ্রাথমিকের ১৪৩৩৯ পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করে রাজ্য সরকার। আর সেই ইন্টারভিউ তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করেই ফের মামলা হয় হাইকোর্টে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়ম ভেঙে প্রকাশিত হয়েছে ইন্টারভিউ তালিকা। ইন্টারভিউয়ের যে তালিকা তৈরি হয়েছে, তা বেনিয়মে ভরা। ন্যূনতম কত নম্বর পেলে ইন্টারভিউয়ে ডাকা হচ্ছে, তারও কোনও উল্লেখ করা নেই সাইটে। অনেক পরীক্ষার্থীই বেশি নম্বর পেয়েও ইন্টারভিউতে ডাক পাননি। এরই প্রেক্ষিতে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল আদালত। এরপর আজ স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ভর্ৎসনা করে সাত দিনের মধ্যে নম্বর সহ মেধাতালিকা প্রকাশ করতে বলল আদালত।