কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ডিভিশন বেঞ্চের অন্তর্বতী নির্দেশের ফলে ৩১ ডিসেম্বর মধ্যে সংযুক্তিকরণ আর বাধ্যতামূলক আর থাকছে না। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ নয়, আধারের সঙ্গে রেশন কার্ড সংযুক্তিকরণের সময়সীমা আরও বাড়ার সম্ভাবনা। আদালতের নির্দেশে স্বস্তিতে রেশন ডিলাররা। হাইকোর্টের নির্দেশে ব্যাকফুটে খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর।
আরও পড়ুন: হাওড়াকে বাদ দিয়ে কেন চার পুরনিগমে ভোট, জরুরি শুনানির আবেদন হাইকোর্টে
advertisement
প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, "রেশন-আধার কার্ডের ই-সংযুক্তিকরণের প্রাথমিক দায়িত্ব খাদ্য সরবরাহ দপ্তরেরই। রেশন ডিলারদের বাধ্য করা যায়না ১০০ শতাংশ ই-সংযুক্তিকরণের জন্য। রেশন ডিলারদের শো-কজ ত্রুটিপূর্ণ।"
রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে করা খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের শো-কজে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ। রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট। ডিলারদের আইনজীবী দেবব্রত সাহা রায় জানান, "২০০১ সালের কন্ট্রোল আইন উপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আদালতের সামনে যুক্তি পেশ করতেই তা গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট। রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের ই-সংযুক্তিকরণ ডিলাদের বাধ্যতামূলক কাজ নয়, সেটাই ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে প্রমাণিত।"
আরও পড়ুন: কোনও কেন্দ্রে যেতে হবে না ! ঘরে বসেই আধারের সঙ্গে লিঙ্ক করুন রেশন কার্ড !
চলতি বছরের ২৬ নভেম্বর শো-কজ করা হয় রেশন ডিলারদের। খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের ঠিক করা একশো শতাংশ আধার-রেশন সংযুক্তিকরণ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় এই পদক্ষেপ করা হয়। শো-কজের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করে অল বেঙ্গল ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। তাদের যুক্তি, ওয়েবেল সংস্থাকে ই-সংযুক্তিকরণ কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। ডিলারদের ই-সংযুক্তিকরণ দায়িত্ব বাধ্যতামূলক হতে পারে না।
খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের ডিলারদের করা শো-কজেও স্থগিতাদেশ চাপিয়েছে হাইকোর্ট। একক বেঞ্চের নির্দেশেও স্থগিতাদেশ চাপিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ৬৯ শতাংশ রেশন-আধার সংযুক্তিকরণ হয়েছে বলে আদালতে দাবি করা হয়েছে। জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে ফের মামলার শুনানির সম্ভাবনা।