TRENDING:

‘গণতন্ত্রের সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে’, বনগাঁ অনাস্থা মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা বিচারপতির

Last Updated:

বিচারপতির মতে, পুলিশ নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করলে বনগাঁ পুরসভার ভোট নিয়ে সমস্যাই হত না।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা মামলায় রাজ্যের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। আস্থা ভোটের দিনের ঘটনাকে গণতন্ত্রের সঙ্গে প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। একইসঙ্গে পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন। আগামী বুধবার এই মামলার রায়।
advertisement

বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোটে অশান্তির জন্য পুলিশকে কাঠগড়ায় তুললেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, বনগাঁ পুরসভার আস্থাভোটের দিন পুলিশ কী করছিল? কেন এক পক্ষের হয়ে তারা কাজ করল? বিচারপতির মতে, পুলিশ নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করলে বনগাঁ পুরসভার ভোট নিয়ে সমস্যাই হত না।

বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোট নিয়ে ফের ক্ষোভ উগরে দিলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। সোমবারের শুনানিতে, মামলাকারী বিজেপির তিন কাউন্সিলরের হয়ে সওয়াল করতে উঠে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, ‘আইন অনুযায়ী অনাস্থা বৈঠক পৌরহিত্য করার কথা চেয়ারম্যানের। তাই অনাস্থা বৈঠক হয়ে গিয়েছে বলে জেলাশাসক ও মহকুমাশাসকের কাছে যে দাবি করেছেন এগজিকিউটিভ অফিসার সেটা বানানো। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, মামলাকারী বিজেপির তিন কাউন্সিলরকে অনাস্থা প্রক্রিয়া শুরু করার। তাঁদের অনুপস্থিতিতে আস্থা ভোটের মূল্য নেই।’

advertisement

কর্নাটক বিধানসভার আস্থা ভোটের প্রসঙ্গ টেনে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সওয়াল, ‘আস্থা ভোটে সংখ্যাই শেষ কথা বলে ৷’ এরপরই বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,‘১০ কখনওই ১১ থেকে বেশি হতে পারে না। যাঁরা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন তাঁরাই সভা করতে পারেননি। এটা গণতন্ত্রের সঙ্গে প্রতারণা। আমি একটি নির্দেশ দিয়েছি। সেটা ভাল-খারাপ দুই’ই হতে পারে। ভোটের মুখোমুখি হয়ে তো দেখ। গায়ের জোর দেখিয়ে নির্দেশ না মানার মানসিকতা দুর্ভাগ্যজনক। মামলাকারীদের অনাস্থা আনার যে অধিকার হাইকোর্ট দিয়েছিল, তা হাইজ্যাক করে নেওয়া হয়েছে। বনগাঁ পুরসভার আস্থাভোটের দিন পুলিশ কী করছিল? কেন এক পক্ষের হয়ে তারা কাজ করল? ভোটের দিন তামাশা করেছে পুলিশ। আস্থা ভোটে দুই রাজনৈতিক দল থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, দুই কাউন্সিলরকে কেন ঢুকতে বাধা দেওয়া হল? পুলিশ নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করলে বনগাঁ পুরসভার ভোট নিয়ে এই সমস্যাই হত না। ’

advertisement

এরপর বিজেপির বাকি আট কাউন্সিলরের হয়ে আইনজীবী অশোক চক্রবর্তী সওয়াল করতে উঠে বলেন, বনগাঁ আস্থা ভোট নিয়ে তিন ধরনের জালিয়াতি হয়েছে। প্রথমত, সংবিধান মানা হয়নি। দ্বিতীয়ত, পুর বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে। তৃতীয়ত, আদালতের সামনে যে ভাবে তথ্য-নথি সামনে এনে মামলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, এই পুরো বিষয়টাই জালিয়াতি।’

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

রাজ্যের তরফে আইনজীবী, মামলার শুনানির জন্য আরও সময়ের আবেদন জানান। তখন ফের ক্ষোভ উগরে দেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। বলেন, ‘বনগাঁর এই আস্থা ভোট মামলার গুরুত্ব অপরিসীম। গণতন্ত্র আজ ফুটপাথে এসে দাঁড়িয়েছে। গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। অন্য সব মামলা ছেড়ে তাই এই মামলার শুনানি চালাচ্ছে আদালত। অতিরিক্ত আর কোনও সময় আদালত মঞ্জুর করবে না। বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় এই মামলার শুনানি। সন্ধে হয়ে গেলেও ওই দিনই মামলার নিষ্পত্তি হবে।’

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
‘গণতন্ত্রের সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে’, বনগাঁ অনাস্থা মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা বিচারপতির