বিচারপতি চন্দ নন্দীগ্রাম মামলা ছাড়ার নির্দেশনামায় লিখেছেন, 'সবটাই পরিকল্পিত চিত্রনাট্য। ১৮ জুন মামলার প্রথম শুনানির পরই দুপুর ১২.২২ নাগাদ টুইট করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান জাতীয় মুখপাত্র। এরপর দুপুর ১.১৬ মিনিট নাগাদ তিনি আরও একটি টুইট করেন। পাশাপাশি অন্য একজন সাংসদ দুপুর ১.১৭ নাগাদ টুইট করেন। টুইটে ২০১৬ সালে আমার সঙ্গে বিজেপি নেতার ছবি। বিজেপির হয়ে মামলা করার কারণেই সেইসময় একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার ছবি সামনে আনা হয়েছে ১৮ জুন ২০২১।'
advertisement
মমতার আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি সঙ্গে একটি জায়গায় জনমানসে ধারণা প্রসঙ্গে একমত হয়েছেন বিচারপতি। তবে বিচারপতি লিখেছেন, একজন বিচারপতি বিচার্য বিষয় বিবেচনার মধ্য দিয়ে বিচার করেন। প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব রাজনৈতিক ঝোঁক বা ভাবনা থাকে। আইনজীবী থাকাকালীন কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে মামলা করতে হয় তাঁদের। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে জানান, " বিচারপতি কৌশিক চন্দ নিজে মামলাটি শুনানি করতে চাননি। প্রধান বিচারপতি মামলাটি তাঁর কাছে পাঠিয়েছেন বিচার করার জন্য। এভাবে বিচারপ্রার্থীরা বিচারপতি বদল চাইলে একটা এনার্কি তৈরি হবে।"
১৮ জুন বিচারপতি কৌশিক চন্দ নিয়ে কোনও নিরপেক্ষতার অভিযোগ নেই আর ২৪ জুন অনাস্থা অভিযোগ। মাঝের সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়াও সংবাদমাধ্যমে অনেক তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা বিচারপতি মামলা ছাড়ার পক্ষে সওয়াল করে গেছেন। নতুন করে বিতর্ক না করতে চেয়ে বিচারপতি কৌশিক চন্দ এই মামলা ছেড়েছেন। সঙ্গে দিয়েছেন ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা নির্দেশ। জরিমানা নির্দেশের নেপথ্যে রয়েছে বিচারপতির ওপর পরিকল্পিত মানসিক চাপ তৈরি ও বিচার ব্যবস্থাকে অমর্যাদা করা। অন্তত এমনটাই নির্দেশনামায় জানানো হয়েছে।