আরজি কর কাণ্ড নিয়ে মঙ্গলবার হাই কোর্টে শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষকে সুযোগ দিচ্ছে আদালত। উনি ছুটির আবেদন করুন আজই, না হলে আদালত সরানোর নির্দেশ জারি করবে।” অধ্যক্ষকে লম্বা ছুটিতে যাওয়ার পরামর্শ দেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। স্বাস্থ্য দফতরে ১৫ দিন ছুটি চেয়ে আবেদন চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষের। হাই কোর্টের পরামর্শ মেনেই নাশানাল মেডিকেলের অধ্যক্ষ ছুটিতে যেতে চাইলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: আরজি করে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে পুলিশ কমিশনারের বৈঠক শেষ, কী বললেন সিপি?
আদালতের পরামর্শের পরেই নাকি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন সন্দীপ। আদালতে রাজ্যের আইনজীবী জানায়, আদালত ইচ্ছেপ্রকাশের পরপরই ছুটির আবেদন করে দিয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। এই প্রসঙ্গে আদালত সন্দীপ ঘোষের আরজি কর থেকে পদত্যাগ পত্র এবং ন্যাশনালের নতুন নিয়োগপত্র জমার নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন: আরজি কর মামলায় সময় বেঁধে দিয়ে কেস ডায়েরি তলব হাই কোর্টের, উঠল কামদুনি প্রসঙ্গ
সন্দীপ ঘোষকে পদত্যাগের ৪ ঘণ্টার মধ্যেই ন্যাশনালের দায়িত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গও উঠে আসে শুনানিতে। রাজ্যের এই পদক্ষেপের পরেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। জুনিয়র ডাক্তার এবং পড়ুয়ারা জানিয়েছিলেন তাঁরা নতুন অধ্যক্ষ হিসাবে সন্দীপ ঘোষকে চান না, অধ্যক্ষের ঘরে তালাও ঝুলিয়ে দেন। বিক্ষোভ সামলাতে ন্যাশনালে যান রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান এবং বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা।