ইতিমধ্যেই এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির তরফে বলা হচ্ছে এই রায়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকেই মান্যতা দেওয়া হচ্ছে। অন্য দিকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, "হাইকোর্টের রায় নিয়ে প্রকাশ্য বিরোধিতা করা যায় না। ওঁরা নির্দেশ দিয়েছেন। সরকার এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই নির্দেশ খতিয়ে দেখে প্রতিক্রিয়া জানাবেন। সম্ভাব্য আইনি দিকগুলি বিবেচিত হবে। আমরা মনে করি NHRCর রিপোর্ট সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে HC নিয়ে এখন কোনো মন্তব্য করছি না।"
advertisement
হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের টিম, তারা প্রায় ১৯০০-র বেশি অভিযোগে সারবত্তা খুঁজে পেয়েছিল। এর মধ্যে ৭২টি ধর্ষণের ঘটনা ছিল, ৫২টি খুনের অভিযোগ ছিল। বলা হয়েছে, এই ধরনের হেনিয়াস ক্রাইম বা জঘন্য অপরাধের ক্ষেত্রে তদন্ত করবে সিবিআই। ফলে মনে করা হচ্ছে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকেই প্রাইমা ফেসিয়া হিসেবে মেনে নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ।
বাকি অভিযোগের ক্ষেত্রে তদন্ত হবে সিটের নেতৃত্বে। বলা হয়েছে এই তদন্ত চলবে হাইকোর্টের নজরদারিতে। অর্থাৎ হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা চলবে না। তিন আইপিএস আধিকারিক সুমন বালাসাহু, সৌমেন মিত্র এবং রণবীর কুমারকে সিট গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গাড়িভাঙা, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ-এর মতো যে অভিযোগগুলি তা খতিয়ে দেখে ছয় সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেবেন তারা। আগামী ৪ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
