১৯৪২–১৯৪৩ সালের তমলুক জেলের নথি তলব হাইকোর্টের। রাজ্যের কারা দফতরের রিপোর্ট তলব বিচারপতি অমৃতা সিনহা’র। ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তথ্য তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ভারতছাড়ো ব্রিটিশ সরকার। আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে তৎকালীন তমলুক জেলে ৬ মাস, ডিসেম্বর ১৯৪২ থেকে জুন ১৯৪৩ অবধি জেল খাটতেও হয়। ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে তাঁর বয়স ১০৩ বছর। স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করার আট দশক পর বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ পূর্ব মেদিনীপুরের ভবানীপুরের বাসিন্দা ভীমচরণ রাণা। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্যে পেনশন পাওয়ার আবেদন করেছেন ভীমচরণ।
advertisement
.
বুধবার ভীমচরণের আইনজীবী অর্ধেন্দু নাগ জানান, ১৯৮১ সালে স্বতন্ত্র সৈনিক পেনশন প্রকল্পে আবেদন করলেও পেনশন পাওয়ার ক্ষেত্রে ভীমচরণের নাম বিবেচনা করেনি কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীকালে ২০১৪ সালে আবারও আবেদন করা হলে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাঁর দাবি, বর্তমানে আর্থিক অনটনে রয়েছেন শতবর্ষ পার করা বৃদ্ধ। কেউ দেখার নেই তাঁকে, তাই এক্ষেত্রে স্বাধীনতা সংগ্রামী পেনশন প্রকল্পের আওতায় এলে জীবনের শেষ বয়সে এসে কিছুটা স্বস্তি পাবেন ভীমচরণ।
রাজ্যের আইনজীবী বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামী হওয়ার তথ্য বা প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র কিছুই পেশ করতে পারেননি বৃদ্ধ। যে প্রমাণপত্র রয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে কর্তৃপক্ষের। কেন্দ্রের আইনজীবী দাবি করেন যে, বৃদ্ধর আবেদন খারিজ করা হলেও উপযুক্ত তথ্য দিয়ে পুনরায় আবেদন করেননি তিনি। বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, “বৃদ্ধর বয়সের বিবেচনা করে দ্রুত পেনশনের বিষয় পদক্ষেপ করা উচিত কর্তৃপক্ষের।”
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “একজন দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন আর কর্তৃপক্ষ যোগ্য হওয়ার প্রমাণ চাইছে।” রাজ্যের কারা দফতর থেকে বৃদ্ধা যেই সময় জেলবন্দি থাকার দাবি করছেন সেই সময়কার তথ্য তলব করে হাইকোর্ট। বিচারপতি সিনহা বলেন, “মাথায় রাখবেন বৃদ্ধার বয়স ১০৩, প্রত্যেকটি দিন তাঁর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
সুজিত ভৌমিক