মামলার শুনানি চলাকালীন এ দিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মন্তব্য করেন, কেন নিহতের স্ত্রী'র অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়নি এবং কেন তা FIR হিসেবে বিবেচিত হয়নি? আদালতের অন্য ভাবনাটি হলো, রাজনৈতিক অভিসন্ধি লুকিয়ে থাকতে পারে কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের সঙ্গে। তাই কেস ডায়েরি আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: বগটুই কাণ্ডের মাঝেই প্রবল বিপদে অনুব্রত মণ্ডল, হাইকোর্টে বড় ধাক্কা! কী ঘটল?
advertisement
নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দুকে পুলিশি নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারকে।মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের কেস ডায়েরি শুক্রবারের মধ্যে তলব করেছেন। পাশাপাশি পুলিশের তদন্তের সংক্ষিপ্ত রিপোর্টও ওইদিন আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
নিহত কাউন্সিলরের পরিবারের তরফে আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি আদালতে জানান, পরপর ঘটনাক্রম জানান দিচ্ছে এই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে শাসকদলের অঙ্গুলিহেলন কাজ করেছে।ঝালদা পুরসভা ভোটের পরে আসন সংখ্যার নিরিখে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ৫টি আসন, কংগ্রেস পেয়েছিল ৫টি আসন এবং নির্দল প্রার্থীরা দু'টি আসনে জয়ী হন। নির্দলদের সমর্থনে বোর্ড গঠন করার দিকে এগিয়ে ছিল কংগ্রেস।নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের পরিবারের আইনজীবীর অভিযোগ, তাই পরিকল্পিত ভাবেই তপন কান্দুকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'যারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন, তাঁরাই হারবেন!' ফিরহাদের কটাক্ষের নিশানায় কারা?
আদালতে আরও অভিযোগ করা হয়, ভোটের আগে থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখানোর জন্য তপন কান্দুরের উপরে চাপ তৈরি করছিল পুলিশ। ঝালদা থানার আইসি-র বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তোলেন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের পরিবারের আইনজীবীরা।
আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি, আইনজীবী ঋজু ঘোষাল জানান, একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক প্রভাব খাটিয়েছেন, হুমকি দিয়েছেন। এবং এখনও দিচ্ছেন। ঝালদা পুলিশের কিছু অডিও রেকর্ডিং তাদের হাতে আছে এবং আদালত চাইলে তা জমা দেওয়া হবে বলেও নিহত কাউন্সিলরের পরিবারের আইনজীবীরা জানান।তাঁরা আর্জি জানিয়ে বলেন, এই ঘটনার তদন্ত রাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন কোনও সংস্থার পক্ষে করা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ সান্ধ্য ভ্রমণে বের হন ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সেই সময় গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে৷ ঘটনাস্থলের কাছেই চলছিল পুলিশের নাকা চেকিং। পুলিশের গাড়ি করে গুলিবিদ্ধ কাউন্সিলরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনটুকুও বোধ করেনি বলে অভিযোগ।