কথায় বলে, বৃহত্তর স্বার্থে সবাই এক হন। কিংবা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থেও শত্রুপক্ষ পরস্পরের হাত ধরে। যেমনটা আকছাড় দেখা যায় রাজনৈতিক লড়াইয়ে। এবার সেই দৃশ্য দেখা গেল ক্রিকেট প্রশাসনেও। সিএবি জুড়ে হঠাৎ ফিল গুড ফ্যাক্টর। একসময়ের দুই প্রতিপক্ষ। ১ মাস আগেও একে অপরের বিপক্ষে মুখ খুলছিলেন নাম না করে। টি২০ বিশ্বকাপের সৌজন্যে এখন সব উধাও। প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে, যুযুধান ২ প্রতিপক্ষই টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজনে হাতে হাত ধরে কাজ করছেন। অন্তত প্রকাশ্যে সেইরকম ছবিই ফুটে উঠছে। কখনও প্রেসিডেন্টের ঘরে মিটিং করছেন বিশ্বরূপ, সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়রা। কখনও বা সৌরভ নিজেই ডেকে পাঠাচ্ছেন কোষাধ্যক্ষ, সচিবদের। ইডেনে পুলিশ পরিদর্শন থেকে মাঠে স্কোরবোর্ড, জায়েন্ট স্কিন লাগানোর কাজে সবসময় বিশ্বরূপ-সুবীরদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন সৌরভ। অন্যসময়ের সৌরভের ছায়াসঙ্গী অনু দত্ত কিংবা দেবব্রত দাসরা বরং বিশ্বকাপের আগে ব্যাকফুটে। কারণ- অবশ্যই ম্যাচ আয়োজনের সংগাঠনিক অভিজ্ঞতা-ক্ষমতা। তাই হয়তো মনেপ্রাণে না চাইতেও বিশ্বরূপ দের ওপরই ভরসা করতে হচ্ছে সৌরভকে। ইডেনের মানরক্ষায় বিশ্বরূপও অভিমান ভুলে নিজের সমস্ত অভিজ্ঞতা উজাড় করে দিচ্ছেন। সৌরভ-বিশ্বরূপ নয়া রসায়ন নিয়ে কোষাধ্যক্ষকে প্রশ্ন করলেই সহাস্য মন্তব্য, বিশ্বকাপের আগে ২-১ টা মিটিং না করলে চলবে কি করে। তবে এই সমীকরণ নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ সৌরভ। কারণ প্রেসিডেন্টও জানেন, জুলাইয়ে ভোটের আগে বিশ্বকাপ আয়োজন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিশ্বরূপকে চটাতে নারাজ মহারাজও। কারণ, কোনও ভাবে ম্যাচ আয়োজনে ব্যাঘাত ঘটলে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে প্রেসিডেন্ট সৌরভকেই।
advertisement
রিপোর্ট: ঈরণ রায় বর্মন