সিএবির বিরোধিতায় রাজ্যে বিক্ষিপ্ত অশান্তি-হিংসা। এ সব রুখতে কড়া মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার নিজের বাড়িতে তিনি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজিপি, এডিজি আইনশৃঙ্খলা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, 'রাজ্যের সব থানাকে সতর্ক থাকতে হবে। গুজব ছড়ালে বা আইন নিজেদের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।'
এর আগে, মুখ্যমন্ত্রী বার বার যেমন শান্তির বার্তা দিয়েছেন, তেমনই বুঝিয়ে দিয়েছেন, আন্দোলনের নামে হিংসা-ভাঙচুর বরদাস্ত করা হবে না।
advertisement
শনিবার মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বার্তায় বলেন, 'সকল রাজ্যবাসীর কাছে আমি আবার অনুরোধ করছি যে কোনভাবেই হিংসাত্মক কাজকর্মে লিপ্ত হবেন না এবং রাজ্যজুড়ে সম্প্রীতি ও শান্তি বজায় রাখুন। পুলিশ থানা, রেল স্টেশন, বিমানবন্দর, পোস্ট অফিস, সরকারি দফতর, পরিবহন ব্যবস্থা এসবই হল সরকারি সম্পত্তি। সরকারি এবং বেসরকারি সম্পত্তির কোনওরকম ক্ষতি হলে রাজ্য সরকার কোনমতেই বরদাস্ত করবে না এবং আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। রাজ্য সরকার একদিকে যেমন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে, পাশাপাশি রাজ্য সরকার সমস্ত রকম দাঙ্গা-হাঙ্গামা এবং শান্তি নষ্ট করার যাবতীয় প্রচেষ্টারও ঘোর বিরোধী। আমরা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এবং এনআরসির বিরুদ্ধে যাবতীয় বিরোধিতা করতে চাই কেবলমাত্র গণতান্ত্রিক এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে। কিছু রাজনৈতিক দল ধর্মীয় গোঁড়ামি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে রাজ্যজুড়ে অশান্তির আবহ ও দাঙ্গা তৈরি করার চেষ্টা করছে। আমি সকলকে অনুরোধ করছি তাদের এই অসাধু উদ্দেশ্যে কর্ণপাত করবেন না। সকল রাজ্যবাসীর কাছে আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ যে সবাই শান্তি এবং সম্প্রীতি বজায় রাখুন।'
সিএবি নিয়ে কলকাতার সব থানার ওসিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। ওসিদের বলা হয়েছে তাঁদের এলাকার ধর্মীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে। স্পর্শকাতর এলাকায় নজরদারি আরও বাড়াতে। কোথাও অবরোধ করা যাবে না। ডিসি, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, এসিদের বলা হয়েছে থানার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে।
রবিবার মালদহের বৈষ্ণবনগরে একটি টোল প্লাজায় হামলার চেষ্টা চালানো হয়। পুলিশ তা রুখে দেয়। হঠিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীদের।