তাঁদের দাবি, এসএসকেএম নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান যশবন্দির। নিহত মহিলার স্বামী রোশন কৌর জানিয়েছেন, ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই ঘর থেকে তিনি ও তাঁর ছেলে বাইরে বেরিয়েছিলেন। স্ত্রীর মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, পৌনে তিনটে নাগাদ জোর শব্দ পান তিনি। বেরিয়ে দেখেন এই ঘটনা। তিনি আরও জানান, ঘরে সেই সময় একা ছিলেন যশবিন্দর। কাজ করছিলেন। তাঁর ওপরেই ছাদ ভেঙে পড়ে। ওই প্রতিবেশীও উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছেন। পরিবারের বক্তব্য, তাঁরা কয়েক প্রজন্ম ধরেই ওই বাড়িতে ভাড়া থাকেন। বাড়ির মালিক বছর পনের আগে প্রমোটারকে বাড়ি ও সংলগ্ন জমি বিক্রি করে দিলেও কোনও ফ্ল্যাট তৈরি হয়নি। এই ভাবেই বাড়িটি পড়ে ছিল। তবে দেখে বোঝা যাচ্ছে বাড়িটির কোনও রক্ষণাবেক্ষণ হত না। এমনকি বাড়িটি বিপজ্জনক ঘোষণাও করা হয়েছে কয়েক বছর আগে।
advertisement
তা সত্ত্বেও কেন বসবাস করে মানুষ জন, এই প্রশ্নের জবাবে ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর নিবেদিত শর্মা জানিয়েছেন, অনেক বারই ঝড়ের সময় ওই বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বলাও হয়েছিল বাড়িটি খালি করতে। ঘটনার খবর পেয়ে তিনিও আসেন ঘটনাস্থলে। আসে কড়েয়া থানার পুলিস। সিইএসসি-র তরফে বাড়িটিতে গিয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ঘটনার পর থেকে প্রতিবেশীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে এই ঘটনার পর কি আদৌ সতর্ক হবেন আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা প্রশ্ন থাকছেই। দিন কয়েক আগে ভর দুপুরে বড় বাজারে গুপ্তা ম্যানশনের দোতলা বারান্দার একাংশ ভেঙে পড়েছিল নিচে। ওই দিন বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন অনেকে।
Amit Sarkar
