এদিন বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব আনেন তৃণমূলের বিধায়ক তথা রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং হেমতাবাদের বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন। প্রস্তাবের সপক্ষে আলোচনা করতে গিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "জন বারলা মানুষকে ভুল বোঝাতে শুরু করেন। পৃথক উত্তরবঙ্গের কথা বলেন। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়কও বাংলা ভাগের কথা বললেন।" এরপরেই ধনখড়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন মন্ত্রী। ফিরহাদের অভিযোগ, "রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় পিছন থেকে সাপোর্ট করতেন।"
advertisement
আরও পড়ুন: এই প্রথম সিবিআই হেফাজতে তৃণমূল নেতা, টেট কাণ্ডে হেফাজতে তাপস-নীলাদ্রিও
ফিরহাদের এমন মন্তব্যের পরেই শোরগোল শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ বাকি বিজেপি বিধায়কেরা। শেষে অবশ্য জগদীপ ধনখড়ের প্রসঙ্গ রেকর্ড থেকে বাদ দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
বিজেপি বিধায়কেরাও এদিন অংশ নন বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আলোচনায়। বিজেপির বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা থেকে দীপক বর্মণ উত্তরবঙ্গের বর্তমান অবস্থা নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেন অধিবেশন কক্ষে। বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মণ বলেন, "উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্যের কোনও পরিকাঠামো নেই। নিউরো ফিজিশিয়ান অবধি নেই। উত্তরে বিজ্ঞান পড়ানো হয় মাত্র ৮-১০'টি কলেজে। চিনি কল নেই, তাই আখ চাষ বন্ধ। একটা কাজের জন্য পেপার কল নেই। ১৯৯৩ সালে মুজনাই নদীর ওপর ব্রিজ ভেঙেছে। আজও সেতু হয়নি। কলকাতায় এরকম হয়? পঞ্চানন বর্মার প্রতিকৃতিতে বিধানসভায় মালা পর্যন্ত দেওয়া হয় না।"
আরও পড়ুন: বাড়ছে আতঙ্ক! এবার অ্যাডিনোভাইরাসে মৃত্যু কলকাতার আড়াই বছরের শিশুর
অন্যদিকে, বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা বলেন, "অনীত থাপা গোর্খাল্যান্ডের নাম করে ভোটে জিতেছে। গোর্খাল্যান্ডের নাম করে যারা রাজনীতি করে সেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের জোট ছিল। গোর্খাল্যান্ডের দাবি করা এমন অনেক নেতাদের সাথে আপনাদের সু-সম্পর্ক ছিল। নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে ওখানে গণভোট করুন। তাহলে বুঝতে পারবেন মানুষ কী চাইছে।"
এরপরেই মোথাবাড়ি কেন্দ্রের বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনের একটি মন্তব্য ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অধিবেশন। সাবিনার মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান বিজেপি বিধায়কেরা। ওঠে জয় শ্রী রাম স্লোগানও।