হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে বাইপ্যাপ খুলে ফেলেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বাইপ্যাপের প্রয়োজন নেই বলছিলেন তিনি। শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে চিকিৎসকরা তাঁকে বুঝিয়ে রাজি করেন। চিকিৎসকদের সঙ্গে ভালোভাবেই কথা বলতে পারছেন তিনি। বাইপ্যাপ চলার কারণে রাইলসটিউবেই খাওয়ানো হচ্ছে তাঁকে। জানা গিয়েছে, শ্বাসকষ্ট অনেকটাই কমেছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বাড়ি ফিরে যেতে চাইছেন তিনি। আপাতত ৬ থেকে ৭ ঘন্টা করে রুটিন ঠিক করে বাইপ্যাপ দেওয়া হবে। আজ ফের সিআরপি টেস্ট হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।
advertisement
গত ২৯ জুলাই তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রবীণ রাজনীতিবিদ তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে।বুদ্ধদেবের চিকিৎসায় গঠন করা হয় মেডিক্যাল বোর্ড। ওই দলে রয়েছেন চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী (মেডিসিন), সৌতিক পাণ্ডা (ক্রিটিক্যাল কেয়ার), সুস্মিতা দেবনাথ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার), সরোজ মণ্ডল (হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ), অঙ্কন বন্দ্যোপাধ্যায় (ইন্টারনাল মেডিসিন এবং পালমনোলজি), ধ্রুব ভট্টাচার্য (ইন্টারনাল মেডিসিন এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার), আশিস পাত্র (অ্যানাস্থেশিয়া), দীপনারায়ণ মুখোপাধ্যায় (ইনফেকশাস ডিজ়িজ স্পেশালিস্ট), সেমন্তী চক্রবর্তী (এন্ডোক্রিনোলজি), সোমনাথ মাইতি (জেনারেল মেডিসিন), সপ্তর্ষি বসু (ফিজিশিয়ান এবং সুপার), দীপনারায়ণ মুখোপাধ্যায় (ইনফেকশাস ডিজিজ স্পেশালিস্ট) এবং সেমন্তী চক্রবর্তী (এন্ডোক্রিনোলজি)।
আরও পড়ুন, নিম্নচাপের ছোবল, সাইক্লোনিক সার্কুলেশন, ঝোড়ো হাওয়া, দামাল বৃষ্টি, মেগা আপডেট
আরও পড়ুন, ‘হাফপ্যান্ট দেওয়া হয়..’, সেন্ট্রাল লকআপে থাকার অভিজ্ঞতা বিধানসভায় তুললেন নওসাদ
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ফুসফুসের সিটি স্ক্যান করা হয় সোমবার৷ সেই স্ক্যানের রিপোর্টে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, নতুন করে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ফুসফুসের সংক্রমণ আর বাড়েনি৷ অর্থাৎ যে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয়েছিল, তা কাজ করছে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা৷