এক্সটেনসিভ গ্রাউটিংয়ের কাজ চলবেই। একই সঙ্গে আরও একটি স্বস্তির খবর, সুড়ঙ্গ নীচের অংশে বন্ধ হয়েছে মাটির নড়নচড়ন। বিভিন্ন জায়গায় বসানো মিটারে তা ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে। ফলে সেটেলমেন্ট হওয়ার আর কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই কোনও বাড়িতে নতুন করে ফাটল ধরবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। ২০১৯ সালের মতো এ বারও সমস্যার কারণ জল চুঁইয়ে ঢোকা। টানেল বোরিং মেশিন বার করার প্রকোষ্ঠের প্রায় ৩৩.৩ মিটার নীচ থেকে ক্রমাগত জল বেরিয়ে আসছিল।
advertisement
আরও পড়ুন-থমথমে দুর্গা পিতুরি লেন, ফাটল চওড়া হল না তো ! চিন্তায় বাসিন্দারা
মাটির নীচের প্রায় ৩৮ মিটার অংশের মধ্যে থেকে প্রায় ৯ মিটার অংশ যা এসপ্ল্যানেডের দিকের সেখানেই শুরু হয় এই সমস্যা। টানেল বোরিং মেশিন চান্ডি যে দিকে খারাপ হয়েছিল সে দিকের সুড়ঙ্গ নিচের অংশেই গত কয়েকদিনে বৃষ্টিপাতের কারণে জল ঢুকতে শুরু করে। বউবাজারে বাড়িতে নয়া ফাটলের কারণ জলস্তর। বউবাজার এলাকায় রয়েছে একাধিক জলস্তর। এই মুহূর্তে ভূস্তর থেকে ৩১.৮ মিটার নীচে আছে টানেল। মাটির ২৫ মিটার নীচে আছে টানেল। এই টানেলের ব্যাস হচ্ছে ৬.৮ মিটার।
এই ৩১.৮ মিটার নীচে থেকেই ক্রমশ জল উঠছে। কারণ গোটা এলাকা জুড়ে রয়েছে অ্যাকুইফার বা জলস্তর। টানেলের দুটি দিকের অংশ জুড়তে হবে। জুড়তে হবে প্রায় ৯ মিটার অংশ। এটি জোড়া হবে কংক্রিট বক্স জয়েন্ট করে ৷ যা পুরনো মেট্রোয় আছে। আর এই বক্স জয়েন্ট করতে গিয়েই বিপত্তি। কারণ টানেলের নীচের অংশ বা ভূমি বা প্ল্যাটফর্ম ল্যান্ড কংক্রিট করতে হবে।
আরও পড়ুন-আজও ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়, জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট
সেই কংক্রিটের কাজ করতে গিয়েই প্রায় ৫ মিটার খোঁড়া হয়েছে ৷ আর সেখান দিয়েই ক্রমাগত জল ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে ৷ এই জল ঢোকা বন্ধ করতে গিয়েই গ্রাউটিং করা হচ্ছে। গ্রাউটিং হল রাসায়নিক, সিমেন্ট আর জলের সংমিশ্রণ। সেটাই পাঠানো হচ্ছে। আর এই জল ঢোকার জন্যেই ফের নতুন করে কম্পন তৈরি হয়েছে। তার জেরেই বুধবার রাতে একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছে বলে মনে করছেন ইঞ্জিনিয়াররা।