গত মঙ্গলবার চোখের সামনে নিজেদের বাড়িটাকে ধুলোয় মিশে যেতে দেখেছেন। এখনও চোখ বুজলেই সেই দৃশ্যটা ভেসে ওঠে। মনে পড়ে যায় পুরোন কথা.... শ্বেতপাথরের সেই মেঝে, বিদেশ থেকে আনানো খাট ৷ লন্ডন থেকে কেনা সেই পিয়ানো....
৬-৭ বছর বয়স থেকে পিয়ানো বাজাই। পিয়ানোটা আছে বলে মনে হয় না।এই তিন তলা বাড়ির পাশে আরও দুটি বাড়িতে শীল পরিবারের সদস্যরা থাকতেন। হলুদ বাড়িটি ভেঙে পড়েছে। বাকি দুই বাড়িতে এমনই ফাটল যে ভাঙা ছাড়া উপায় নেই। শেষ হয়ে যাচ্ছে পুরোন দিনের কত কথা....না জানা নানা ইতিহাস
advertisement
বউবাজারে তখন জঙ্গল। শীল ও মতিলাল পরিবার এসে দুর্গা পিতুরি লেনে থাকা শুরু করে। বাড়ির বয়স দেড়শো-দুশো বছরের কম নয়। সার্কাসে বুকে হাতি দাঁড়ায়। সেই যন্ত্রণা হচ্ছে৷ খুবই কষ্ট হচ্ছে। রাতে ঘুমোতে পারছি না। খাবার পেট থেকে নামছে না৷
আরও পড়ুন - শরীরি হিল্লোলে উঠল তুফান, ব্যবসা আনতে পাকিস্তান এই কী উপায় নিল, ভিডিও ভাইরাল
শীল পরিবারের ছাপাখানার ব্যবসা। তিনতলা যে বাড়িটি গত সপ্তাহে ভেঙে পড়ে, তার নীচে ছিল একটি ছাপাখানাটি। আরেকটি ছাপাখানা যে বাড়িতে, সেটাও ভেঙে ফেলা হবে।তিনটি বাড়ি মিলিয়ে চল্লিশটির কাছাকাছি ঘর। বিরাট পরিবার। পুজোর সময়ে বাড়িগুলি গমগম করত। সব এখন স্মৃতি। সব মনে পড়ছে। জল আসছে চোখে।
শীল পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, শুধুমাত্র ঠাকুরের মূর্তির গায়েই কয়েক লক্ষ টাকার গয়না ছিল। সে সবই ধ্বংসস্তূপের নীচে। তাই, কেএমআরসিএলের কাছে তাদের আরজি, ধ্বংসস্তূপ সরানোর সময় যেন একটু নজর দেওয়া হয়।
আরও দেখুন