বইমেলার উদ্বোধনে বইমেলাকে বৃক্ষের সঙ্গে তুলনা করেন মমতা। ডিজিটাল অস্বীকার নয়, তবে বই পড়ার উপকারিতার কথা ফের একবার মনে করালেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বইমেলা হল আমাদের বইবৃক্ষ। বৃক্ষ অনেক ঘটনার সাক্ষী। কিন্তু সব কথা বলতে পারে না। বই কিন্তু কথা বলে, দেখতে পায়। যতই ডিজিটাল আসুক। যে বাড়িতে বই নেই, সেই বাড়ি কেমন কেমন লাগে। বই আমাদের হৃদয়ের নকশা। বই প্রেরণা আমাদের। বই থেকে সব তথ্য পাই। বই আমাদের ডাউন মেমরি লেনে নিয়ে যায়।’’
advertisement
আরও পড়ুন: বৃহস্পতি, সূর্য, বুধ, মঙ্গল…ফেব্রুয়ারিতে ৪ গ্রহের গোচর! ৫ রাশির কপাল খুলবে, সাফল্য দরজায়
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘লেখক ছোট না বড় তা নিয়ে চর্চা হয়। তবে লেখক হলেন লেখকই। ছোট লেখকের হাত দিয়েও দারুণ লেখা বেরোয়। ডিজিটালের বাজারে গতবার এরা ৩০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। পাবলিক বইমেলা ভালোবাসে। বইমেলার সঙ্গে হৃদয় যুক্ত থাকে।’’ বই কেনার প্রতি উত্সাহ বাড়াতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ভাষা, সীমান্ত, সংস্কৃতির আলাদা হতে পারে। কিন্তু মানবিকতা আলাদা ব্যাপার। বই নিয়ে হাসুন। বই কিনুন। বই ভালবাসুন।’’
আরও পড়ুন: অবহেলা নয়, কিডনি ফেলিওয়ের আগে শরীরে দেখা যায় এই ৫ লক্ষণ! দেখলেই সতর্ক হন
জাগো বাংলার থিম এবার মা মাটি মানুষ। এই থিম নিজেই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘‘আমি অর্জূন গাছ লাগাতে বলেছিলাম। থিম আমার নিজের করা। কুলঙ্গীতে যেমন বই থাকে। আমরা ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে শ্রদ্ধা করি।’’ বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা বইমেলাকে স্থায়ী জায়গা দিয়েছি। আগে তাদের নানা জায়গায় ঘুরতে হত। বইবৃক্ষ যুগ যুগ ধরে মহীরুহ। ডিজিটালকে অস্বীকার করা যাবে না। আমরা আধুনিক হচ্ছি। কিন্তু বই ভালোবাসুন।’’