পুলিশ দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখে একটি অভিযোগ নিয়েছে। পুলিশ বরং তাঁকে থানায় অপমান করেছে বলে,অভিযোগ করছিলেন বৃদ্ধ ইঞ্জিনিয়ার। দীপঙ্কর মিত্র দক্ষিণেশ্বর এলাকার, ৮নং নিমচাদ কারার স্ট্রিটের ,কৃষ্ণালয় বিল্ডিংয়ের,পঞ্চম তলে থাকেন। ১১ জুন দুপুর নাগাদ বেশ কিছু যুবক তাঁর বাড়িতে হঠাৎ করেই ঢুকে পরে। উনি ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন।
আরও দেখুন – Mutton Biryani: ৫০০ গ্রাম, ৫০০ গ্রাম, ৫০০ গ্রাম! মাটন বিরিয়ানিতে এক পিস মাংসেই বাজিমাত
advertisement
ওনার অভিযোগ, ওই ছেলেগুলি নিজেদের স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্য বলে পরিচয় দেয়। ওনাকে বাড়ি ছেড়ে যেতে বলে। নইলে রক্ত দান শিবিরের জন্য এক লক্ষ টাকা তাঁরা দাবি করে।উনি ওই টাকা দিতে অস্বীকার করলে, ওনার আলমারি ভেঙে মানি ব্যাগ কেড়ে নিয়ে তারা নগদ ১২ হাজার টাকা নিয়ে নেয়।সঙ্গে দুটি চেকে বাদ বাকি (৫+১৫ ) ২০ হাজার টাকা লিখিয়ে নিয়ে চলে যায়।
আরও দেখুন
দীপঙ্কর বাবুর দাবি ,ওরা ডাকাতি করতে গিয়েছিল ওনার ফ্ল্যাটে। ঘটনার পর দীপঙ্কর বাবু তাঁর বোন মুনমুন ঘোষ ও ভগ্নিপতি প্রশান্ত ঘোষকে ফোন করে জানান,তারা ভবানীপুর থেকে গিয়ে দীপঙ্কর বাবুকে উদ্ধার করে কলকাতার পিজি হাসপাতালে এনে চিকিৎসা করান। এরপর ওরা দক্ষিণেশ্বর থানায় বারবার যোগাযোগ করলেও কোনও ভাবে পুলিশের সাহায্য পায়নি।
অবশেষে ১২ই জুন দীর্ঘক্ষণ থানায় বসিয়ে রাখার পর পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করে। দীপঙ্কর বাবু এখনো খুব ভয়ে কুঁকড়ে রয়েছে। তার পরিবারের বক্তব্য,পুলিশের কাছে গিয়ে তাঁরা কোনও সুরক্ষা পাননি। তাই তাঁরা এই রাজ্য ছেড়ে অন্য রাজ্যে চলে যেতে চান। ১১ তারিখের ঘটনায় পরিবারের সবাই বেশ আতঙ্কিত। দক্ষিণেশ্বর থানার আধিকারিকের সঙ্গে ফোনে এই বিষয় নিয়ে যোগাযোগ করা হলে,তিনি কিছু বলতে চাননি।
SHANKU SANTRA