ইভিএম-এর চিহ্ন দেওয়া এই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে মূলত তিনটি বিষয়কে হাতিয়ার করেছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল (Priyanka Tibrewal)৷ প্রথমত দাবি করা হয়েছে, ভবানীপুরের ভোটের (Bhabanipore By Election) ফলে সরকার বদল না হলেও মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বদল হবে৷ সেক্ষেত্রে রাজ্যে দুর্নীতি কিছুটা হলেও কমবে৷ চিঠিতে লেখা হয়েছে, 'ভবানীপুরের নির্বাচন পরিবর্তনের ভোট না হলেও এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ এই নির্বাচনে আপনার একটি ভোট পশ্চিমবঙ্গের মানুষের দুর্নীতির ভোগান্তি একটু হলেও কমাতে পারে৷'
advertisement
আরও পড়ুন: এখনই উত্তর প্রদেশ নয়, ত্রিপুরা- গোয়ার মতো ছোট রাজ্যই প্রথম টার্গেট তৃণমূলের: ডেরেক
চিঠিতে আরও দাবি করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী পরাজিত হলে শাসক দল এবং প্রশাসনের অন্দরেও দুর্নীতি করার প্রবণতা কিছুটা কমবে৷ সবশেষে বিজেপি প্রার্থী দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী জয়ী হলে তিনি ভবানীপুরের মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবেন৷ কিন্তু তিনি সবসময় ভবানীপুরের বাসিন্দাদের পাশে থাকবেন বলে দাবি করেছেন বিজেপি প্রার্থী৷
গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, দলীয় রং মত নির্বিশেষে প্রায় চল্লিশ হাজার পরিবারকে চিঠি পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু সময়ের অভাবে শেষ পর্যন্ত তা কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷ বিজেপি নেতারা অবশ্য দাবি করছেন, পরিবারের কেউ তৃণমূলের নেতা কর্মী হলেও তাঁদের বাড়িতে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের সমর্থনে এই চিঠি পৌঁছে দেওয়া হবে৷ ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনপত্রও ভবানীপুরের ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে তৃণমূল৷
ভোটারদের বাড়ি বাড়ি চিঠি পৌঁছে দেওয়া আসলে বামেদের পুরনো কৌশল৷ ইদানিং অবশ্য সব রাজনৈতিক দলই ভোট প্রচারে পত্রবার্তাকে হাতিয়ার করেছে৷ বাদ যায়নি বিজেপি-ও৷ লক্ষ্যণীয় ভাবে ভবানীপুরে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে শেষ মুহূর্তে নিঃশব্দেই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ালো গেরুয়া শিবির৷ যদিও এতে কাজের কাজ কতটা হয়, ভোটের ফলেই তা বোঝা যাবে৷ কারণ ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর জয়ের মার্জিন নিয়েই বেশি ভাবছে তৃণমূল শিবির৷ ভোট দানের হার যাতে না কমে, প্রচারে গিয়ে বার বার সেই আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে৷