কয়েকদিন আগে হওয়া বৈঠকে বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশাল, সহকারী পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য, নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ভূপেন্দ্র যাদব, সহকারী নির্বাচনী পর্যবেক্ষক বিপ্লব দেব ছিলেন। বঙ্গ বিজেপির কয়েকজন শীর্ষ নেতৃত্ব ছিলেন। আরএসএসের পক্ষে কয়েকজন কেন্দ্রীয় ও এই রাজ্যের কয়েকজন শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।
advertisement
সেই বৈঠকে আলোচনায় উঠে এসেছে, ২০২১ সালের ভোট নিয়ে নেতা কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ বেশি ছিল। কিন্তু মাঠের প্রস্তুতি কম ছিল। এবার মাঠের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি অনেক বেশি বলেই মনে করছেন বৈঠকে উপস্থিত নেতৃত্ব। বাংলাদেশী অনুপ্রবেশের ফলে সীমান্তবর্তী এলাকায় জনসংখ্যার ভারসাম্যের বদল হয়েছে। সেই বদলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। তার সঙ্গে যুক্ত করা হবে অনুপ্রবেশের ফলে কর্মসংস্থান আর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের মদতে তা করা হচ্ছে। তা জনগণকে বোঝানোর কাজ করবে বিজেপি। ফলে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও তার প্রভাব পড়ছে। দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকা নেতা- মন্ত্রীকে নিশানা করা হবে প্রচারে। কয়লা, বালি, শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতির উপর জোর দেওয়া হবে। সরকারি অর্থ তছরুপের ঘটনাকেও প্রচারে অস্ত্র করবে গেরুয়া শিবির। অর্থনীতির বেহাল দশা আর যুব সমাজের পরিযায়ী হয়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেওয়াও গুরুত্ব বিজেপির ২০২৬ সালের ভোট প্রচারে। নারী নিরাপত্তা নিয়ে নিয়মিত মহিলা ও যুব মোর্চা যাতে রাস্তায় নামে তার দিকেও নজর দেওয়ার প্রসঙ্গ বৈঠকে উঠে এসেছে।