রাজ্যের একশোরও বেশি পুরসভার পুরবোর্ডগুলির মেয়াদ অনেক দিন আগেই শেষ হয়েছে৷ এই পুরসভা বা পুরনিগমগুলিতে প্রশাসক বসিয়ে কাজ চলছে৷ দীর্ঘদিন ধরেই পুরভোটের দাবিতে সরব ছিলেন বিরোধীরা৷ সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতা এবং হাওড়া পুরসভায় ভোট করানোর প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়৷
আরও পড়ুন: বিজেপি-র মিছিলে পুলিশের না, বাধা দিতেই তুমুল উত্তেজনা, গ্রেফতার বেশ কয়েকজন
advertisement
রাজ্যের পরিকল্পনা অনুযায়ী, দুই পুরসভাতেই আগামী ১৯ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা৷ ভোটের ফল ঘোষণা হবে ২২ ডিসেম্বর৷
যদিও এভাবে দু'টি পুরসভায় আগে ভোট করানোয় আপত্তি রয়েছে বিজেপি-র৷ দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এ দিন বলেন, 'আমরা প্রতিটি পুরসভা বা কর্পোরেশনে একসঙ্গে ভোট চাইছি৷ এই দাবি নিয়ে আমরা আদালতেও যাচ্ছি৷ কলকাতা এবং হাওড়ায় আগে ভোট করিয়ে নেওয়ার পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলে আমরা মনে করি৷ একান্তই যদি সব পুরসভায় একসঙ্গে ভোট করানোর ব্যবস্থা না করা যায়, সেক্ষেত্রে ভোটের গণনা একসঙ্গে করার দাবি আমরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জানাবো৷'
আরও পড়ুন: বঙ্গ BJP-তে অর্থ এবং নারীর চক্র! আরও বিস্ফোরক তথাগত রায়, বিপর্যস্ত গেরুয়া শিবির
সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, 'আমরা সব পুরসভায় একসঙ্গে ভোট চাইছি তার মানে বিজেপি-র এতগুলো পুরসভায় একসঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা আছে৷'
যদিও বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই দাবি মানতে চাননি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ তাঁর পাল্টা অভিযোগ, 'এতদিন নিজেরাই ভোট করানোর দাবিতে সরব হয়েছিল৷ এবার ভোট ঘোষণা হতেই তাতে দেরি করানোর জন্য এই সমস্ত দাবি তোলা হচ্ছে৷ মুখ্যমন্ত্রী তো আগেই বলেছিলেন রাজ্যে উপনির্বাচন মেটার পরই পুরভোট হবে৷'