এক সময় পুলিশকে বোমা মারার দাওয়াই দিয়েছিলেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শুধু বোমা মারাই নয়, পুলিশ কর্তাকে ঘড়ি ধরে সময় দিয়ে ব্যবস্থা না নিলে চরম হুঁশিয়ারি দিতেও দেখা গিয়েছিল। এ দিন প্রায় সেভাবেই বিষ্ণুপুরের সভা থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি হুঙ্কার দেন, ‘দিন পরিবর্তন হচ্ছে। পুলিশ যদি সিধে না হয়, আমরা পিটিয়ে সিধে করব। বাংলার মানুষ সেই দিকে এগোচ্ছে। সময় এখনও আছে, সিধে হয়ে যান।’ সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন,’ দু’দিন আগে তৃণমূলের এক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল সাধারণ মানুষ। মানুষ জেগে উঠছে।’
advertisement
আরও পড়ুনঃ ধনতেরস-দীপাবলি, ৮ বিরল যোগে রাজার মুকুট পরবে এই রাশি, টাকার সমুদ্রে ভাসবে
যে কোনও নির্বাচন এলেই তার আগে বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতারা-নেত্রীরা হুমকি হুঁশিয়ারি থেকে নিদান, দাওয়াইয়ের মাধ্যমে দলীয় কর্মী সমর্থকদের মনোবল বাড়িয়ে তোলেন। কোথাও কোথাও গরম গরম ভাষণ দেন বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের। এ বার সেই তালিকায় সুকান্ত মজুমদার। তবে এটাই প্রথমবার নয়, আগেও বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে দেখা গিয়েছে শাসক দল থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে।
এ বার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় হিসেবে পরিচিত বিষ্ণুপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে দলীয় সমাবেশ থেকে পুলিশকে পেটানোর নিদান দিয়ে খবরের শিরোনামে সুকান্ত মজুমদার। দলীয় সভা থেকে সুকান্ত মজুমদারের পুলিশকে পেটানোর নিদানকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতি এখন সরগরম।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী