পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীতলায় এক সমাবেশে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, "আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুধু এই জেলা নয়, সারা রাজ্য থেকে আমরা তৃণমূলকে সরাব। মমতাকে হারিয়েছে। আগামীতে সেই পরাজয় সারা রাজ্যে ছড়িয়ে দেব। ১৫ মিনিটের জন্য পুলিশ সরিয়ে দিন পার্টি অফিস খুলতে পারবে না তৃণমূল। দুর্নীতি হলে নাম জমা দিন। পেটের ভিতর হাত ঢুকিয়ে তা আদায় করব। কেন্দ্রীয় টিম আসছে, বলুন বড় লোকেরা টাকা নিচ্ছে গরিব পাচ্ছে না। পেট্রোল, ডিজেলে ট্যাক্স বসিয়ে সবচেয়ে বেশি টাকা পায় এই রাজ্য। দ্বিতীয় মদে। বিডিও তৃণমূল নেতার মতো আচরণ করছে। নাম হয়েছে তৃণমূলের অফিসার। সারা জীবন পিসি ভাইপো থাকবে না৷ লেজ কীভাবে সোজা করতে হয় বিজেপি জানে।"
advertisement
আরও পড়ুনঃ পঞ্চায়েতে 'নির্দল ভূতের' আশঙ্কায় সিপিআইএম, নিচুতলায় লাল সতর্কতা জারি
তিনি আরও বলেন, "রাম মন্দির নিয়েও অনেক কথা বিরোধীরা বলেছিল। কিন্তু আসলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। বলা হচ্ছে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। হিসেবটা দেখান। আগে কতো পেতেন এখন কতো পান? লজ্জা করে না মিথ্যা কথা বলতে। কেন্দ্রীয় টাকা চুরি করে বাংলা আবাস যোজনার নামে করতে দেবো না। অনুব্রত তিহারে গিয়ে মুখ খুলবে। পঞ্চয়েতে প্রার্থী দিন লড়াই হবে৷ একটা ধাক্কা শুধু দিতে হবে।"
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দলই ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছে। পিছিয়ে নেই বিজেপিও। এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক শিবিরকে ঘিরতে বিজেপি যে দুর্নীতিকেই প্রধান অস্ত্র করবে তা বলাই বাহুল্য। চণ্ডীতলায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সেই ইঙ্গিত দিলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
UJJAL ROY