বৃহস্পতিবার আরও নানা বিষয়ের পাশাপাশি সুকান্তের উদ্দেশ্যে ফিরহাদের দাবি নিয়েও প্রশ্ন ধেয়ে আসে। সেই 'বিরাট নাম'-এর প্রসঙ্গটি এড়িয়ে না গিয়ে বরং সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'যারা নীতি-আদর্শের ভিত্তিতে বিজেপি করেন, তারা কেউ দল ছেড়ে যাবেন না। সেই বিষয়ে আমি নিশ্চিত। তবু, যাদের সমস্যা হচ্ছে, তাঁদের বলব যে কোনও রাগ-ক্ষোভ থাকলে আসুন, আলোচনা করুন দলের মধ্যে। আমি মনে করি, আলোচনার মাধ্যমে সব করা সম্ভব। একসাথে লড়াই করব সবাই। আর এই সরকারকে উৎখাত করা শুধু সময়ের অপেক্ষা।'
advertisement
রাজ্য BJP-র নতুন সভাপতির এহেন মন্তব্যই আরও জল্পনা বাড়িয়েছে দলের অন্দরে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য খারিজ করে দেননি সুকান্ত মজুমদার। বরং দলের অন্দরে নেতাদের আলোচনা করার কথা বলেছেন তিনি। ফলে দলে বড় ভাঙন ধরার আশঙ্কা কি তিনি নিজেও করছেন? আর সেই কারণেই কি নীতি-আদর্শের কথা বলে দলের ভিতরে আলোচনা করে রাগ-ক্ষোভ মেটানোর কথা বলছেন তিনি?
জল্পনা আরও বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরেই বিজেপির রাজ্য নেতাদের বৈঠকে ডেকেছেন নতুন রাজ্য সভাপতি। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগোনোর বার্তা দিতে পারেন তিনি। যে সমস্ত এলাকায় দলের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে, তা তড়িঘড়ি মেটানোর নির্দেশও দিতে পারেন সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন: BJP থেকে তৃণমূলে আসছেন বিরাট নেতা! মন্ত্রীর মন্তব্যে অশনিসংকেত গেরুয়া শিবিরে
বিধানসভা ভোটের পর থেকে মুকুল রায় (Mukul Roy) সহ চার বিজেপি বিধায়ক ইতিমধ্যেই নাম লিখিয়েছেন শাসক দল TMC-তে। সদ্যই রীতিমতো আলোড়ন ফেলে ঘাসফুল শিবিরে এসেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। আর বাবুলের তৃণমূলে যোগদানের দিনই ভবানীপুরের ভোট প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) দাবি করেন, খেলা তো সবে শুরু হল৷ আগামীতে আরও অনেক বড় চমক অপেক্ষা করছে। এদিনও মুর্শিদাবাদে ভোট প্রচারে গিয়ে অভিষেক দাবি করেছেন, ''বিজেপির নেতারা লাইন দিয়ে রেখেছেন, আমরা দরজা খুলে দিলে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে।'' অভিষেকের একের পর এক দাবি, একইসঙ্গে ফিরহাদের এদিনের সাড়া জাগানো মন্তব্য যে ঝড় তুলেছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে, তা বলাই বাহুল্য।