BJP-র রাজ্য সভাপতি হওয়ার আগে পর্যন্ত পুরোদস্তুর 'ফ্যামিলি ম্যান' ছিলেন সুকান্ত। রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরে পরিবারই ছিল তাঁর ধ্যানজ্ঞান। কিন্তু রাজ্যের বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর থেকেই ব্যস্ততা চরমে। পরিবারের জন্য এখন আর সেই সময় কোথায়! তবু, পুজোর সময়টা যেহেতু রাজনীতিতেও 'ছুটি', তাই পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটালেন সুকান্ত মজুমদারও।
জেলার ছেলে, তাই সপ্তমীতেই কলকাতা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন নিজের জায়গা, বালুরঘাটে। পুজোর কারণেই 'ঘরের ছেলে' ঘরে ফিরেছে। পুজোর এই কয়েকটা দিন নিজের এলাকায় বিভিন্ন মণ্ডপে যাওয়া এবং এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের জন্যই বরাদ্দ রেখেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। গোটা রাজ্যের দলের দায়িত্ব এখন তাঁর কাঁধে, তবু নিজের জায়গার তো একটা গুরুত্ব থাকেই সকলের কাছে।
advertisement
আরও পড়ুন: নিভিয়ে দেওয়া হল কলকাতার 'বুর্জ খলিফা'-র সেই অনবদ্য আলো, আসল কারণ হল...
পাড়ার ক্লাব মৈত্রী চক্রে প্রতিবারের মতো এবারও হচ্ছে পুজো। অষ্টমীর সকালে সস্ত্রীক সেখানেই পৌঁছে গিয়েছিলেন সুকান্ত বাবু। অঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই প্রশ্ন ধেয়ে আসে, 'কী চাইলেন মায়ের কাছে?' সেই সময়ই শান্তিপূর্ণ বাংলা-র কথা বলেন তিনি।
সুকান্ত মজুমদারের কাছে এদিন প্রশ্ন ধেয়ে এসেছে 'কলকাতার বুর্জ খলিফা' শ্রীভূমি স্পোটিং ক্লাবের পুজো মণ্ডপের লেজার শো বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গেও। তা নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতির মন্তব্য, ''আমি ওই এলাকার কাছাকাছিই থাকি। কাছেই বিমানবন্দর। তাই সেই দিকটি মাথায় রেখে সবকিছুই নিয়ম মেনে করা উচিত। কারও আনন্দ অপরের নিরানন্দ না হয়ে ওঠে, সেই বিষয়টি সবাইকে দেখতে হবে।'' শ্রীভূমির 'বুর্জ খলিফা'র লেজারের আলোর কারণে দমদম বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামায় বাধা তৈরি হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও সেই দাবির মান্যতা পাওয়া যায়নি বিমানবন্দর এবং ক্লাব সূত্রে। ক্লাবের তরফে বলা হয়েছে, ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতেই নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে লেজার আলো।