নেতৃত্ব দেবেন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ। করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডে দুপুর একটায় জমায়েত। তারপর সেখান থেকেই সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবন অভিযান শুরু হবে। বিজেপি যুব মোর্চার এক প্রতিনিধি দলের অভিযান শেষে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের কাছে স্মারকলিপিও তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর উদাসীনতার কারণেই অ্যাডিনোভাইরাসের প্রকোপে শিশু মৃত্যুর ধারাবাহিকতা চলছে ৷ ’’
advertisement
পদ্ম শিবিরের এদিনের কর্মসূচিতে বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে মহিলা মোর্চার কর্মী-সমর্থকরাও অংশ নেবেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, অ্যাডিনোভাইরাসের শিকার হয়ে একের পর এক শিশু মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্য বিজেপি। বিজেপির দাবি, ‘‘শিশু মৃত্যু ঠেকাতে রাজ্যের এই মুহূর্তে উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই।’’ যুব মোর্চা নেতৃত্বের আরও অভিযোগ, ‘‘শিশু মৃত্যু নিয়ে প্রকৃত তথ্য গোপন করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের শিশুদের চিকিৎসা ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। সরকারি হাসপাতালে বেডের আকাল। যেভাবে শিশু মৃত্যু নিয়ে অসত্য তথ্য সরবরাহ করছে স্বাস্থ্য দফতর, তা এককথায় নিন্দার। আমরা বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকার এবং আমাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছি যে রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গের শিশু মৃত্যু ঠেকাতে ব্যর্থ।’’
বলা বাহুল্য, রাজ্য সরকারের তরফে বেড বাড়ানো থেকে আরম্ভ করে নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরেও শিশুমৃত্যু পুরোপুরি ঠেকানো এখনও পর্যন্ত সম্ভবপর হয়নি। এই নিয়ে যথেষ্টই উদ্বিগ্ন অভিভাবক মহল। অ্যাডিনোভাইরাসের আতঙ্কে ভুগছে গোটা রাজ্য। বি সি রায় শিশু হাসপাতাল-সহ একাধিক সরকারি হাসপাতালে একের পর এক মৃত্যু হচ্ছে শিশুদের। সূত্রের খবর, বেসরকারি মতে গত জানুয়ারি মাস থেকে এ পর্যন্ত ১০০ টিরও বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জ্বর, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যে থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস। এই পরিস্থিতিতে এবার শিশু মৃত্যু ঠেকাতে সরকারি উদ্যোগের দাবিতে আজ, শুক্রবার পথে নামছে বিজেপির যুব মোর্চা।