শুক্রবার অর্জুন সিং বলেন, 'সিআইডি-র জেরায় সহযোগিতা করব। তবে তা ভার্চুয়ালি হতে হবে।' এবং তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন ওই মামলা ভিনরাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি তুলেছেন বিজেপি সাংসদ। প্রসঙ্গত, নারদ মামলাও ভিনরাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যেতে হাইকোর্টে আবেদন করেছে CBI। এদিন নিজের দুর্নীতির মামলাও অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার দাবি তুললেন অর্জুন।
তাঁর কথায়, 'এই রাজ্যের মামলায় সঠিক বিচার পাওয়া যাবে না। শুধু এই মামলা নয়, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে সব মামলাই পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কোনও আদালতে হওয়া উচিত।' নিজের মামলা নিয়েও তিনি হাইকোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
advertisement
বৃহস্পতিবার দুর্নীতির একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অর্জুনকে ভবানীভবনে তলব করে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যদিও বিজেপি সাংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পালটা প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেছেন, 'সুপ্রিম কোর্ট থেকে আমার রক্ষাকবচ নেওয়া আছে। আমায় ডাকতে পারে, কিন্তু গ্রেফতার করতে পারবে না।' এখানেই প্রশ্ন উঠছে, গ্রেফতারির ভয় না থাকলে কেন সশরীরে হাজির দিতে চাইছেন না অর্জুন?
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ওই মামলাটি দায়ের হয়েছিল। ভাটপাড়ায় একটি নিকাশি নালা নির্মাণে টেন্ডার ডাকা হলেও তা অর্জুন ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, ওই নালা নির্মাণে সাড়ে ৪ কোটি টাকা খরচ দেখানো হলেও তার কিছুই করা হয়নি। সেই মামলাতেই অর্জুন সিংকে তলব করেছে সিআইডি। অর্জুনের কাছে ওই মামলা সম্পর্কিত অনেক তথ্য রয়েছে বলে সিআইডি সূত্রে খবর। নারদ কাণ্ডের মধ্যেই যেভাবে অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিআইডি, এমনকী তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে ভবানীভবনে, তাতে রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।