আরও পড়ুন- হড়পা বানে ডুবল সেতু, ভাঙল রাস্তা! দেরাদুনে মেঘ ভেঙে ভয়াবহ দুর্যোগ
ক্ষুব্ধ মিহির লিখেছেন, "কারণ আপনার পরিবার এবং দলের রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে থাকা চুরি ও দুর্নীতির জাল আজ দুনিয়ার মানুষের সামনে উপড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে, স্বভাবতই আপনাদের মস্তিষ্ক বিভ্রাট ঘটেছে। অভিযোগের বিচার আদালতে হয়, আইনের প্রতি আমার/আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। আস্থা আছে মানুষের উপরও। মনে রাখবেন, আপনার সংসর্গ ত্যাগ করবার পূর্ণ সমর্থন আমি পেয়েছি জনতার আদালত থেকে, বিপুল ভোটে আপনাদের হারিয়েছি।"
advertisement
তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করে মিহির লিখেছেন, "আপনার দলের বাকি চুনোপুটি, পরগাছা, উচ্ছিষ্টভোগীদের আমি গ্রাহ্য করিনা। যে ক'জন হাতে গোনা আমার সমকালীন রাজনৈতিক নেতা আপনার বৃদ্ধাশ্রমে এখনও জীবিত কালাতিপাত করছেন তাঁদের প্রতিও আমার করুণা ভরা সহমর্মিতা রইল। কিন্তু এই চোর-ডাকাত-লুম্পেন বাহিনীর সর্দারনী হয়ে যে মুখ্যমন্ত্রীর আসনটিকে প্রতিদিন কালিমালিপ্ত করছেন, বাংলার মানইজ্জতকে রোজ বারংবার ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছেন, সেই আপনাকেই আজ খোলা চ্যালেঞ্জ রইল, চলুন সামনাসামনি বসে চোখে চোখ রেখে কথা বলি। আপনি বলুন, আমিও বলি। আপনি মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশমন্ত্রী তাই আপনার পুলিশ দিয়ে যে কোনও তদন্তকে স্বাগত জানাই। বাকিটা তো বলবে সময়।"
আরও পড়ুন- মাঝরাতে কাঁপল লখনউ! ৫.২ মাত্রার জোরালো ভূমিকম্পে ঘুম ভেঙে আতঙ্কে মানুষ
প্রসঙ্গত, আয়ের সঙ্গে সম্পত্তির কোনও সামঞ্জস্য নেই, কয়েক বছরে সম্পত্তির পরিমাণও বেড়েছে সাইক্লোনের গতিতে, রাজ্যের এমনই ১৭ জন সাংসদ, বিধায়কের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে আদালতে। যাঁদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশই বিজেপির জনপ্রতিনিধি। তালিকায় রয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ, মনোজ কুমার ওঁরাও, আব্দুল মান্নান, মিহির গোস্বামী, অগ্নিমিত্রা পাল, শমীক ভট্টাচার্য, শীলভদ্র দত্ত, জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এই মর্মেই এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলা চিঠি লিখলেন বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী।