অগ্নিমিত্রা খোঁচা দিয়ে বলেছেন, "হাসছি মোরা, হাসছি দেখো। পাচ্ছে হাসি, তাই হাসছি তাই। টিএমসি সরকারের দিশাহীন হাসির কথা আগেই বোধহয় সুকুমার রায় বুঝে গিয়েছিলেন। আজ বাজেট নিয়ে বক্তৃতা দিতে গিয়ে আমার এই কথাই মনে পড়ছে।"
এর পরেই রাজ্যের শিল্প ব্যবস্থা-সহ আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সরকারকে কটাক্ষ করেন তিনি। অগ্নিমিত্রা বলছেন, "শিল্পপতিদের সাহায্য করতে পারল না। কোনও নতুন শিল্পের দিশা নেই। সাগরে যেটা হওয়ার ছিল হল না। গভীর সমুদ্র বন্দর নিয়ে কোনও দিশা নেই। কলকাতা বিমানবন্দরের এক্সপ্যানশন সহ, রাস্তা সম্প্রসারণ নিয়ে কোনও কথা নেই। বিকাশ ভবনের সামনে চাকরি প্রার্থীরা বসে আছেন।"
advertisement
এরপরেই দুর্নীতি নিয়ে সরব হন অগ্নিমিত্রা। বিধানসভায় নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে টেনে আনেন ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের প্রসঙ্গও। এই নিয়েও তিনি তৃণমূলকে বিঁধেছেন। তিনি বলছেন, "দুর্নীতি ও তৃণমূল সমার্থক শব্দ। দেবাঞ্জন দেব বুঝিয়ে দিয়েছে দূর্নীতির শিকড় কত গভীরে।"
২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের জয়ী বিজেপি প্রার্থী বলছেন, "ইঞ্জিনিয়ারিং আসন ফাঁকা পড়ে থাকে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়েরর জন্যে চিকিৎসক আসেন কর্ণাটক থেকে। রাস্তা সম্প্রসারণের কেন কোনও দিশা নেই? কেন ৩৪ নং জাতীয় সড়ক সম্প্রসারিত হল না। কত শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে? চিকিৎসকদের নিয়োগ কত? শিল্প পার্কে কী কাজ হচ্ছে? নিজেদের জীবনকে টেনে তোলো, স্বামীজী বলেছিলেন।"
প্রসঙ্গত, বুধবার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের অনুপস্থিতিতে বাজেট পেশ করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২০২১-২০২২ রাজ্য বাজেটে আগামী পাঁচ বছরে দেড় কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি থাকছে। এ ছাড়াও রোড ট্যাক্স এবং অ্যাডিশনাল ট্যাক্স আগামী ১ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত মুকুব করা হচ্ছে। স্টাম্প ডিউটিতে ২% ছাড় দেওয়া হচ্ছে।