তদন্তে তদন্তকারী আধিকরা জানতে পেরেছেন, বড়সড় প্রতারক সনাতন। দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সঙ্গে নানাভাবে প্রতারণা করছিল সে। ২৫ জুন তালতলা থানার আধিকারিকরা প্রথম সনাতনের 'কীর্তি' ধরে ফেলেন। এক অভিযুক্তকে ছাড়াতে গিয়ে নিজে ফেঁসে যায় সে। জানা গিয়েছে, ২৫ জুন নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে সে। পুলিশের তখনি সন্দেহ হয়, কারণ মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে উপদেষ্টা পদের কোনও অস্তিত্বই নেই। এরপরেই খোঁজখবর নিয়ে আধিকারিকরা বিষয়টি বুঝতে পারেন। তারপরে সনাতনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেন। তারপর থেকে তার খোঁজ চলছিল। প্রসঙ্গত, CBI-র DIG গড়িয়াহাট থানাকে চিঠি দিয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সনাতনের সঙ্গে CBI-র কোনও সম্পর্ক নেই।
advertisement
অন্যদিকে, ৩০ জুন গড়িয়াহাট থানায় ফের তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করেন ম্যান্ডেভিলা গার্ডেন এলাকার এক মহিলা। তাঁর অভিযোগ, সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে গড়িয়াহাটে তাঁর ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টা করছিল সনাতন। নীল বাতি গাড়ি নিয়ে আসতেন সনাতন রায়চৌধুরী। তারপরেই সোমবার রাতে সনাতনকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তার ব্যবহৃত নীল বাতি লাগানো গাড়িটি। গাড়ি থেকে সিবিআই-এর লোগো দেওয়া স্টিকার উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সনাতন বরানগরের মণ্ডলপাড়ার বাসিন্দা। পেশায় আইনজীবী। নিজেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিত। নীল বাতি গাড়ি নিয়ে ঘুরত। এ দিকে আবার ডিজিটাল প্লাটফর্মে সিবিআই স্পেশাল কাউন্সিলের পদাধিকারী বলে নিজের পরিচয় দিত। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে পার্কস্ট্রিট থানা এলাকা থেকে এমনই এক ভুয়ো আধিকারিকে হাতেনাতে ধরা হয়েছিল। ধৃতের নাম ছিল আসিফুল হক। আসিফুলও নিজেকে ভিজিল্যান্স অফিসার বলে পরিচয় দিত। নীল বাতি লাগানো গাড়িও ব্যবহার করত। বুধবার জেরায় অসঙ্গতি ধরা পড়তেই তাকেও গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।
তথ্যঃ অর্পিতা হাজরা ।