ভোটে ধর্মীয় মেরুকরণের ফসল ঘরে তোলা। গত ছয় দশক ধরে রাজ্যে ঘুমিয়ে থাকা সেই বীজই এবার মহীরুহ এই বাংলায়।
২ থেকে ১৮ ৷ ১৯৫১-৫২ সালে প্রথম লোকসভা নির্বাচনে ২ আসন পায় ভারতীয় জনসংঘ, ১ আসন পায় হিন্দু মহাসভা ৷
তারপর বারবার শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে। ১৯৯১ সালের রাম মন্দির হাওয়ার সময় ভোটের হার বেড়ে দশ শতাংশ পেরিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আসন জোটেনি। ১৯৯৮-৯৯ সালে তৃণমূলের সঙ্গী হয়ে দুটি আসন পেয়েছিল বিজেপি। আর ২০১৪-য় একক ভাবে লড়ে সেই দুই। তখন ছিল মোদি হাওয়া। এবার অনেক আগে থেকেই বাংলাকে টার্গেট করেছিল গেরুয়া শিবির। তার প্রধান হাতিয়ার ছিল ধর্মীয় মেরুকরণ। উত্তরপ্রদেশ মডেলকে সামনে রেখেই এরাজ্যে, হিন্দুভোটকে এক ছাতার তলায় আনার কৌশল নেয় গেরুয়া শিবির। আর তাতেই কিস্তিমাত।
advertisement
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী আসনগুলিতে অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রচার
অনুপ্রবেশের দাওয়াই হিসেবে দেশ জুড়ে এনআরসি চালুর প্রতিশ্রুতি
হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি
তার সঙ্গে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ ৷ রাজ্যে দুর্গাপুজো নিয়ে মেরুকরণের কৌশল ৷ হিন্দুত্বের আবেগকে উস্কে দিতে গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যে ঘটা করে রামনবমী পালন ৷ কৌশলে জয় শ্রী রাম স্লোগানকে প্রচারের আলোয় আনা ৷ দাড়িভিটে ছাত্রমৃত্যুকেও ধর্মীয় মেরুকরণের কাজে লাগায় বিজেপি ৷ জঙ্গলমহল-সহ রাজ্যজুড়ে আদিবাসী ভোট টানতে আরএসএসকে কাজে লাগানো হয় ৷
হিন্দুত্বের রমরমা প্রচারের ফল হাতেনাতে পেল বিজেপি। দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-ও যা পারেনি ২০১৯-এর বাংলায় সেটাই হল।