এখানেই শেষ নয়। এরপরে আরও সুর চড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী আজ যে ভাবে অসহযোগিতা করলেন, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এরপরে অনেক এই ধরনের অনুষ্ঠান হবে। এরপর থেকে ওঁকে বাড়িতে বসে দেখতে হবে।"
আরও পড়ুন, মাতৃবিয়োগ প্রধানমন্ত্রীর, তবু 'কর্মে' বিরতি নয়! ভার্চুয়ালি কলকাতার একগুচ্ছ অনুষ্ঠানে থাকবেন মোদি
advertisement
আরও পড়ুন, প্রয়াত মোদি-জননী! স্মৃতির সরণি বেয়ে ফিরে দেখা মা-সন্তানের পুরনো অ্যালবাম
আজ, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে হাওড়া স্টেশন থেকে পূর্বাঞ্চলের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, হঠাৎ মাতৃবিয়োগ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সশরীরে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে বন্দে ভারতের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের মত ব্যক্তিত্বেরা। মুখ্যমন্ত্রীও আমন্ত্রিত হয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন অনুষ্ঠানের সময়।
কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা মাত্রই সেখানে উপস্থিত বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে কয়েকজন 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান দিতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান ভেসে আসছিল ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে। শেষে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে দেখা যায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে। ২৩ নম্বর প্লাটফর্মে থাকা বিজেপি বিধায়কদের দিকে হাত দেখিয়ে থামতে বলেন তাঁরা।
এই ঘটনার পরে মুখ্যমন্ত্রী আর অনুষ্ঠান মঞ্চে ওঠেননি। পাশেই একটি চেয়ার নিয়ে বসে পড়েন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। কিন্তু তার পরেও তিনি মূল মঞ্চে আর ওঠেননি।
মুখ্যমন্ত্রীর এই 'প্রতিবাদ' নিয়েই এদিন তীব্র আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ নিয়ে মমতাকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ সরকারও। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী বাচ্চাদের মতো আচরণ করছেন, অনেক পাপ করেছেন। তাই রাম স্লোগান সহ্য হয় না।" যদিও স্লোগান বিতর্ক নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।