ভোটের আগে সিপিএমের বহু কর্মসূচিতেই সক্রিয় ভাবে ছিলেন অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। হঠাৎই এমন উলাটপুরাণে তিনি চূড়ান্ত ক্ষিপ্ত। কার্যত দলের সঙ্গে তাঁর সমস্ত সম্পর্ক চুকেবুকে গেল এই ঘটনায়।
রাহুল ফেসবুকে লিখেছেন-আমি কোন প্রলোভন বা পাওয়ারের কারণে রাজনীতি করি না। আমার রাজনীতি একান্তই আদর্শগত। সিপিএমের মঞ্চে যদি টিকিট না পাওয়া হতাশ বিজেপি জায়গা পায় তাহলে আমি আজ এই মুহূর্ত থেকে সিপিএমের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। আমার বামপন্থা সিপিএমের মুখাপেক্ষী নয়। যে একবারের জন্যও সাম্প্রদায়িক দলের সাথে জড়িয়ে আছে বিশেষত সে যদি সেলিব্রিটি হয় তার সাথে কোনদিন এক মঞ্চে আমি থাকবো না। সিপিএম ভেবে দেখুন আমাদের প্রয়োজন না তাদের। রাহুলের এই পোস্টে কমেন্টের বন্যা। শ্যামল চক্রবর্তীর কন্যা উষসী চক্রবর্তীও এই চিন্তাকে সমর্থন জানিয়েছেন।
advertisement
উল্লেখ্য বিজেপির হয়ে গলা ফাটানোর পরেও শেষ মুহূর্তে যাদের হাতে পড়েছিল পেন্সিল তাদের অন্যতম রুপা, অনিন্দ্যরা। ভোটের পর থেকে অনিন্দ্যদের সুরও বদলাতে শুরু করে। কিন্তু তা বলে শ্রমজীবী ক্যান্টিন! এই আদর্শহীনতাতেই রাহুল চটছেন। খাপ্পা সিপিএমের অজস্র নিচুতলার কর্মীরাও। অনিন্দ্য রুপাদের কে মিছিলের ডাকলো, প্রশ্নটা তাই নিয়েই। কথাটা ঠিক শ্রমজীবী ক্যান্টিন সকলের জন্য উন্মুক্ত, যে কেউ আসতে পারেন, মুক্তহস্তে দান করতে পারেন। কিন্তু তারপরেও রাহুলদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে তার কারণ অনিন্দ্যরা নিয়মিত বিজেপির ঝান্ডা ধরে রাস্তায় হেঁটেছেন।
এদিন অনিন্দ্যদের সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা যায় শতরূপ ঘোষকেও। শতরূপকে নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে আকছার। বেফাঁস মন্তব্য করে খবরে আসায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। এবারেও আবার কাঠগড়ায় তিনি। কী সাফাই গাইবেন শতরূপ!