বিজেপির নবান্ন অভিযান। গঙ্গার দু’পাড়ে ধুন্ধুমার। এই নবান্ন অভিযান থেকেই অক্সিজেনের খোঁজে বঙ্গ বিজেপি। বঙ্গ বিজেপি মনে করছে, মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানের পর দলের কর্মী-সমর্থকরা অনেকটাই উজ্জীবিত। এই রেশ ধরে রাখতে মরিয়া পদ্ম নেতারা। এই পরিস্থিতিতে সময় নষ্ট না করেই আগামী দিনে সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি রণকৌশল সাজাতে চাইছেন তাঁরা।
advertisement
রবি এবং সোমবার কলকাতার আইসিসিআর হলে বৈঠকে বসছেন বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক নেতারা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে সুনীল বনসল বর্তমানে বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। পূর্ণ সময়ের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে বিহারের মঙ্গল পান্ডেকে। অমিত মালভিয়ার সঙ্গে সহ- পর্যবেক্ষক এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঝাড়খণ্ডের আশা লাকড়াকে। এ রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের নেতারা সবাই মিলে এই প্রথম বৈঠকে বসছেন। এক কথায় বঙ্গ বিজেপির ফুল টিম আজ ও আগামিকাল বিভিন্ন স্তরের সাংগঠনিক নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করবেন।
বিজেপি সূত্রের খবর, দু’দিনে মোট ৬ দফায় বৈঠক করবেন তাঁরা। আজ, রবিবারের বৈঠকে থাকবেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা। সোমবারের বৈঠকে থাকবেন সমস্ত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি, জেলা ইনচার্জ এবং আহ্বায়কেরা। একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই ইস্যুকে সামনে রেখে শাসকদলের উপর চাপ বজায় রাখতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি। সূত্রের খবর, এই নিয়ে আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হতে পারে এই বৈঠকে। বঙ্গ বিজেপির তরফ থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সংগঠনের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ একাধিক নেতা এই বৈঠকে অংশ নেবেন।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলের ভূমিকা থেকে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি যেহেতু দরজায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন তারপর লোকসভা ভোট। এই পরিস্থিতিতে দলকে ঝাঁকুনি দেওয়ার পাশাপাশি বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোন পথে শাসকদলের মোকাবিলা করা হবে, সে সম্পর্কেও কলকাতায় দুদিনের সাংগঠনিক বৈঠকের আয়োজন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।